বেলগাছিয়া সেতু থেকে তুলে ফেলা হবে এই ট্রামলাইন। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
এ বার বেলগাছিয়া সেতুর ভার লাঘব করার কাজ দ্রুত শুরু হতে চলেছে। এ জন্য সেতু থেকে ট্রামলাইন তুলে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে সরানো হবে সেতু-পথের পিচ বা বিটুমিনের আস্তরণ। টালা সেতুর বিকল্প হিসেবে চিৎপুর লেভেল ক্রসিং তৈরি হয়ে গেলেই ওই কাজ শুরু করা হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই লেভেল ক্রসিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই মতো ওই কাজের প্রথম দফায় ট্রামলাইন তোলা শুরু হবে বোর্ডের পরীক্ষা পর্ব মিটলে, অর্থাৎ চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাস থেকে। কাজ চলবে প্রায় দু’মাস। প্রশাসন সূত্রের খবর, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কংক্রিট কেটে লোহার লাইন তোলার সময়ে কোনও ঝাঁকুনিতে সেতুর যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।
ওই কাজের সময়ে সেতুতে বাস রুটের কী পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, সেতুর মাঝের যে লেনে ওই ট্রামলাইন রয়েছে, তা ঘিরে দেওয়া হবে। যাতে দু’ধারের লেন দিয়ে গাড়ি চলাচলে কোনও অসুবিধে না হয়। একই সঙ্গে লেভেল ক্রসিং তৈরি হয়ে গেলে, সেখান দিয়েও ভারী যান চলাচল করানো হবে। তাতে ওই সেতুতে যানজটের আশঙ্কা হবে না বলেই দাবি পুলিশের।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে টালা সেতুর উপর দিয়ে প্রথমে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিন থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে যায় টালা সেতু দিয়ে ছোট গাড়ির যাতায়াতও। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পর থেকেই বেলগাছিয়া সেতুর উপরে যান চলাচলের চাপ বৃদ্ধি পায়।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ওই সেতুর উপরে এক সময়ে লম্বা গাড়ির সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আদৌ ওই সেতু সেই ভার নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। এর পরেই তাঁরা পরীক্ষা করে বোঝেন সেতুর স্বাস্থ্য ভাল নেই। ফলে দ্রুত বেলগাছিয়া সেতুর ওজন ঝরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।