গড়ে উঠছে নতুন দমকল কেন্দ্র। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
প্রগতি ময়দান এলাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন দমকল কেন্দ্র। এখানে থাকছে পঞ্চাশ হাজার লিটার জলধারণ সক্ষম রিজার্ভার। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া এলাকায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে দমকল কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী অগস্ট মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তা জানান।
২০১১-এ রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পরে কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ দফতর। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রগতি ময়দানের নতুন দমকল কেন্দ্র সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। এখন প্রগতি ময়দান এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পাটুলি বা গড়িয়াহাট থেকে ইঞ্জিন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয় বলে অগ্নিনির্বাপণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দমকল কেন্দ্রটি হবে চার তলার। এর ভূগর্ভে থাকছে পঞ্চাশ হাজার লিটার জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রিজার্ভার। তার উপরে থাকবে দমকলের ইঞ্জিন রাখার জায়গা। যেখানে দু’টি দমকল ইঞ্জিন সব সময় থাকবে। দুই এবং তিন তলায় থাকছে দমকল কর্মীদের থাকার জায়গা। চার তলায় থাকছে দমকলেরই একটি অফিস। রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতরের একাধিক কর্তা জানান, এই নবনির্মিত দমকল কেন্দ্রটি চালু হলে বাইপাস এবং কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলি এলাকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
আনন্দপুর, মাদুরদহ, পঞ্চান্ন গ্রাম, তিলজলা, তপসিয়া, চৌবাগা, লেদার কমপ্লেক্স এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন দমকল কেন্দ্র হওয়ায় এই সব এলাকার বাসিন্দারা তাই বেশ খুশি। মাদুরদহের বাসিন্দা সরোজ পালের কথায়, ‘‘দিনের পর দিন এলাকায় বসতি বাড়ছে। নতুন দমকল কেন্দ্রটির ফলে আমাদের সুবিধে হবে।’’
ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া মিলন মেলা প্রাঙ্গণে সারা বছর বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তার মধ্যে বইমেলাও রয়েছে। এই এলাকায় অনেক সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, অত্যাধুনিক বেসরকারি হাসাপাতাল, হোটেল, খাদ্যবিপণি, শপিংমলও রয়েছে। গত এক দশকে একের পর এক বহুতল আবাসন এই এলাকার মানচিত্রটিকেই বদলে দিয়েছে। যার জেরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এলাকার জনসংখ্যা। অনেক ঘিঞ্জি বসতি এলাকাও রয়েছে। রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘অনেক দিন আগেই এই এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র হওয়া দরকার ছিল। এলাকার গুরুত্ব বিবেচনা করেই এখানে বাড়তি জলের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।’’