Coronavirus in Kolkata

সঙ্কটজনক থেকে সুস্থ করোনা আক্রান্ত সদ্যোজাত

গত ২৮ জুলাই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনির উপসর্গ থাকা শিশুটিকে ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’-এ ভর্তি করেন মা দেবশ্রী মাইতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০৩:২৬
Share:

ফাইল চিত্র।

সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক সদ্যোজাতকে সরকারি হাসপাতালে রেফারের সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪০ দিনের শিশুটি স্থান বদলের ধকল নিতে পারবে কি না, নিশ্চিত ছিলেন না পার্ক সার্কাসের বেসরকারি শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। করোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলেও শিশুটিকে সেখানে রেখেই চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শেষে রোগীর স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্তেরই জয় হল। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা ওই শিশু।

Advertisement

গত ২৮ জুলাই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনির উপসর্গ থাকা শিশুটিকে ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’-এ ভর্তি করেন মা দেবশ্রী মাইতি। নিকু চিকিৎসক খেয়া ঘোষ উত্তম জানান, শিশুটির দেহে অক্সিজেনের মাত্রাও কম ছিল। উচ্চক্ষমতার ভেন্টিলেটরে রেখেও অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ছে না দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। বুকের এক্স-রে প্লেট দেখেও তাঁরা বিপদের আভাস পান। করোনা পরীক্ষায় চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হয়। রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের একমাত্র হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ওই শিশুটিকেও প্রথমে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রক্তচাপ ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম থাকায় সেখানে রেখেই চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডের পৃথক আইসিইউ-এ রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরি জানান, উপুড় করে ভেন্টিলেট করা হলে শিশুটি চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করে।

প্রভাসপ্রসূন জানান, ৪০ দিনের শিশুর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এতটা সঙ্কটজনক অবস্থায় চলে যাওয়ার নজির নেই বললেই চলে। চিকিৎসায় কী প্রোটোকল মানা হবে, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ। শিশুটির চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন আর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়েছে। গত তিন দিন আর অক্সিজেনের প্রয়োজন না হওয়ায় ছুটি দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement