Domestic Violence

স্ত্রীকে মার, স্বামীকে বেঁধে প্রহার পড়শিদের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩২
Share:

বাতিস্তম্ভে বেঁধে ওই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হচ্ছে। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

স্ত্রীকে মারধরের ‘অভিযোগে’ এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পাল্টা পেটালেন এলাকার বাসিন্দারা। জমায়েতের নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে শাসন থানার পাকদহের বাসিন্দাদের একাংশ ওই যুবককে নেড়া করে দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শাসক দলের নাম জড়িয়েছে। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশকে না জানিয়ে কেন গ্রামের বাসিন্দারা আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর স্ত্রী বলেন, “সাড়ে তিন বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে। তার পর থেকেই নেশা করে আমাকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী। পাড়ায় বহু বার জানিয়েছি। পাড়ার লোকেরা সালিশিও করেছেন। তখন বলেছে আর কোনও দিন করবে না। কিন্তু সে কথা রাখেনি। শুক্রবার রাতে আমাকেও বেধড়ক মারধর করছিল। আমি সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করি। তখন আরও বেশি করে মারধর শুরু করে। কোনও রকমে পালিয়ে গিয়ে পাড়ার লোকেদের বলি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে পাড়ার লোকেরা অভিযুক্ত যুবককে বাড়ি থেকে টেনে বার করে মারধর করা শুরু করেন। তাঁকে একটি বাতিস্তম্ভে বেঁধে মারধর করা হয়। তার পরে নেড়া করে তাঁকে পাড়ায় ঘোরানো হয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়। যুবকটি অবশ্য জানান, মদ খেয়ে স্ত্রীকে মারধর করলেও, শুক্রবার তিনি স্ত্রীকে মারেননি। তবে তিনি থানায় অভিযোগও করতে চান না। অভিযোগ, সালিশির পিছনে পাড়ার তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। তবে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহম্মদ জামালউদ্দিন তাঁর বা দলের লোকেদের এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পাড়ার ছেলেরা মিলে এ সব করেছে। আমি তখন ছিলাম না এলাকায়।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement