Neighbors Cut Trees

বাড়িতে ঢুকে ‘জোর করে’ গাছে কোপ

শেখরবাবুর দাবি, রবিবার দুই পড়শি আচমকাই তাঁর বাড়িতে ঢুকে লোক দিয়ে গাছগুলি জোর করে কাটিয়ে দেন। বারবার থানায় ফোন করলেও পুলিশ তাঁকে সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৪
Share:

— ফাইল চিত্র

বাড়ির ফাঁকা জমিতে আম-কাঁঠালের বাগান করেছিলেন বিরাটির সর্দারপাড়ার বাসিন্দা শেখর সেন। গাছগুলি বড় হতেই গোলমাল বাধে পড়শিদের সঙ্গে। অভিযোগ, গাছের পাতা আর ডাল পড়ছিল তাঁদের বাড়িতে। গাছগুলি কাটার জন্য তাঁরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ।

Advertisement

শেখরবাবুর দাবি, রবিবার দুই পড়শি আচমকাই তাঁর বাড়িতে ঢুকে লোক দিয়ে গাছগুলি জোর করে কাটিয়ে দেন। বারবার থানায় ফোন করলেও পুলিশ তাঁকে সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ। সোমবার থানা অভিযোগ নিলেও উল্টে তাঁকেই সাবধান করে গিয়েছে বলে দাবি বৃদ্ধের।

৭৩ বছরের শেখরবাবু রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি জানান, গাছের পাতা-ডাল পড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়শিদের সঙ্গে গোলমাল চলছিল। পড়শিরা উত্তর দমদম পুরসভায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন। পুর প্রতিনিধিরা এসে জানিয়ে দেন, গাছ কাটা বন দফতরের বিষয়। তার পরেও পড়শিরা তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

শেখরবাবু জানান, রবিবার সকালে তাঁর পড়শি তন্ময় পাল ও রাজীব দাস বেশ কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে জোর করে তিনটি কাঁঠাল ও দু’টি আম গাছ কাটিয়ে দেন। শেখরবাবু জানান, তিনি নিমতা থানায় বার কয়েক ফোন করেন। কিন্তু পুলিশ আসেনি।

এ বিষয়ে তন্ময়বাবুর বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই শেখরবাবু নিজেই গাছ কাটিয়ে দিয়েছেন।’’ যদিও গাছ কাটার জন্য যাঁকে আনা হয়, তিনি জানান, শেখরবাবু তাঁকে ডাকেননি।

সোমবার পুলিশ অভিযোগ নেয়। দুপুরে তারা ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশকেও তন্ময়বাবুরা একই কথা জানান। পুলিশ শেখরবাবুকে উল্টে বলে, ‘‘সবাই তো আপনার বিরুদ্ধে বলছেন।’’

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জানি না। উনি আমার কাছে অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শেখরবাবু জানান, তিনি বন দফতরেও অভিযোগ জানাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement