প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন যৌন পেশায় যুক্ত মহিলারা। তাই সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা দিতে যৌনকর্মীদের অসংগঠিত শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পরামর্শ-বিধি (অ্যাডভাইজ়রি) প্রকাশ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির একাংশের আপত্তি থাকায় সেই পরামর্শ-বিধি সংশোধন করে ফের প্রকাশ করা হল। মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে প্রকাশিত ওই পরামর্শ-বিধিতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর প্রকাশিত পরামর্শ-বিধির প্রেক্ষিতে এই সংশোধন। বলা হয়েছে, মানব পাচার রোধে কাজ করা সংগঠনগুলির একাংশ মহিলা যৌনকর্মীদের অসংগঠিত শ্রমিকের স্বীকৃতি দিতে আপত্তি জানিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, কোনও মেয়েই স্বেচ্ছায় এই কাজে আসেন না, দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁদের বাধ্য করা হয়। তাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও রেশন ব্যবস্থা আবশ্যিক করার উপরে জোর দিয়েছিল সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার প্রকাশ করা সংশোধিত পরামর্শ-বিধি কার্যত ওই সব সংগঠনের কথাই মানল। কমিশন জানাল, যৌন পেশায় থাকা মহিলারা অসংগঠিত শ্রমিক নন, তবে তাঁদের ওই শ্রমিকদের মতো আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হোক।
সংশোধিত পরামর্শ-বিধিকে স্বাগত জানিয়েছেন একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার সুনীতা কৃষ্ণন। তিনি বলেন, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বিষয়টি বিবেচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। ভারতীয় নাগরিকদের একটি বড় অংশ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে। যৌন পেশাকে বৈধতা দিলে ওই সব পরিবারের মেয়েদের জোর করে এই পেশায় টানা হবে। আমরা খুশি যে সংগঠনের কথা কমিশন শুনেছে।”
খুশি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানব পাচার রোধে যুক্ত রবিকান্তও। তাঁর কথায়, “ওই স্বীকৃতি দিলে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা নাবালিকাদের জোর করে ব্যবসায় নামাতে পাচার করা হত। তাই পরামর্শ-বিধির সংশোধন জরুরি ছিল।”