আদিগঙ্গাকে অনেক জায়গায় এখনই প্রায় খুঁজে পাওয়া যায় না। ফাইল ছবি।
আর টালবাহানা নয়। আড়াই বছরের মধ্যে আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের জন্য এইসময়সীমা বেঁধে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
আদালত জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অধীনে আদিগঙ্গার সংস্কার সম্পূর্ণ করতে হবে। কাজ শেষের সেই রিপোর্ট ২০২৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে। মামলার সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকার, কলকাতা পুরসভা,কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, হিডকো, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’কে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়াহয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ, আদিগঙ্গার পাড়ে জবরদখল, আবর্জনা ফেলা, খাটাল ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রাজ্যেরমুখ্যসচিবকে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে।
এমনিতেই আদিগঙ্গার সংস্কার নিয়ে জলঘোলা কম হচ্ছে না। রাজ্য-কেন্দ্রের চাপান-উতোর, জবরদখল,খাটালের সমস্যা, প্রকল্পের জন্য কলকাতা পুরসভার প্রস্তাবিত খরচ এবং এনএমসিজি-র বরাদ্দকৃত খরচের মধ্যে কয়েকশো কোটির ফারাক— এমন হাজারো বিষয় নিয়েবিতর্ক হয়েই চলেছে। এক নদী বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘আদিগঙ্গাকে অনেক জায়গায় এখনই প্রায় খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্তত কিছু অংশও যাতে বেঁচে থাকে, তার জন্য দ্রুত সেটির সংস্কার সম্পূর্ণ হওয়াদরকার।’’ মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘আদিগঙ্গা নিয়ে লড়াই দীর্ঘদিনের। এ বার প্রকল্পের বাস্তবায়ন যাতে ঠিক মতো হয়, তা রাজ্য সরকারকে নিশ্চিতকরতে হবে।’’