কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছিল পরিবেশ আদালত। ফাইল ছবি।
কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামা নিয়ে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই হলফনামা দায়সারা ভাবে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করল পরিবেশ আদালত। কেন এ ধরনের হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তার পর্যালোচনার জন্য পরিবেশ দফতরকে নির্দেশও দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে দশ দিনের মধ্যে নতুন ভাবে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামার বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছিল পরিবেশ আদালত। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ তারা কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল পর্যবেক্ষণ পর্ষদ (সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড), রাজ্য জল তদন্ত অধিদফতর (স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট), কলকাতা পুরসভা, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ-সহ সব পক্ষকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলে। সেই মতো রাজ্য জল তদন্ত অধিদফতরের অনুমোদনপ্রাপ্ত, পুর-স্তরে ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্পোরেশন লেভেল গ্রাউন্ড ওয়াটার রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) হলফনামা দিয়ে জানায়, কলকাতা এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের ক্ষেত্রে সব সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তাই জল উত্তোলনে যথেচ্ছাচারের প্রশ্নই নেই। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কলকাতা এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল তোলার বিষয়টির উপরে নজরদারি করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ-ও জানিয়েছিেলন, এলাকাবিশেষে ভূগর্ভস্থ জল তোলার আবেদনের অনুমতি দেওয়া ও খারিজ করা, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ভূগর্ভস্থ জলের নমুনা পরীক্ষা করা-সহ একাধিক কাজ করা হয়। প্রতিটি আবেদন খুঁটিয়ে বিচার করে তবেই জল উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। তাদের প্রশ্ন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা কি রাজ্য জল তদন্ত অধিদফতরের আওতায় পড়ছে না? তা হলে কেন সেখানকার জলস্তর নিয়ে একটা কথাও বলা হয়নি? ওই প্রসঙ্গে দায়সারা উত্তর দেওয়া হয়েছে বলেই আদালত মনে করছে। তাই ফেরহলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। দিয়েছে আদালত। কলকাতা পুরসভার আইনজীবী পৃথ্বীশ বসু বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখাহচ্ছে। সেই অনুযায়ী নতুন হলফনামা দেওয়া হবে।’’