ফাইল চিত্র।
প্রায় দু’বছর আগেই জাতীয় পরিবেশ আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, গণ পরিবহণ ব্যবস্থাকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির (সিএনজি) আওতায় আনার জন্য নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে। যার অন্যতম কারণ, কলকাতা ও হাওড়ার ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ। কিন্তু সেই নির্দেশের পরে এখনও পর্যন্ত কোনও নীতিই জমা পড়েনি বলে খবর। তাই এ বিষয়ে কী অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে আগামী এপ্রিলের মধ্যে বিস্তারিত পরিকল্পনা রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাজ্যকে নির্দেশ দিল আদালত।
পরিবেশকর্মীদের একটি অংশের বক্তব্য, সিএনজি মামলা বহু দিন ধরেই চলছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশও দিয়েছে পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেগুলি এখনও কার্যকর হয়নি। এ দিকে, যানবাহনের ধোঁয়ায় দূষণের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়ছে। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি চালু হলেও এ রাজ্য সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এ দিন বলেন, ‘‘কবে, কোথা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি আসবে, তা নিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট হচ্ছে। অথচ এ শহরে এত পরিমাণে দূষণ হয় যে কলকাতাকে ডিজ়েল ক্যাপিটাল বলা হচ্ছে। মুখ্যসচিবের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে ওই বিস্তারিত পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’