নিরাপত্তার ঘেরাটোপে জেলাশাসকের দফতর। — ফাইল চিত্র।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফাতেই হবে পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই নির্বাচনের জন্য শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গোলমাল না ঘটে বা উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলেছে লালবাজার। গোটা মনোনয়ন-পর্ব শান্তিপূর্ণ রাখতে পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করারও নির্দেশ জারি করেছে লালবাজার। এর জন্য এ দিন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন আলিপুরের ওই এলাকা। অভিযোগ উঠেছিল, বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। এমনকি, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণ এবং নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও।
লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, এ বারও যাতে সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য এ দিন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, অর্থাৎ ১৫ জুন পর্যন্ত ওই চত্বরে পুলিশের বিরাট বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে। যার নেতৃত্বে থাকছেন এক জন উপ নগরপাল। এ ছাড়া, ডিভিশনাল উপ নগরপালকে গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরের নিউ ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩টি জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। সে কথা মাথায় রেখেই এক জন ডিসি ছাড়াও দু’জন এসি-কে সকাল ১০টা থেকে মনোনয়ন-পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকছেন তিন জন ইনস্পেক্টর-সহ ৬০ জনের বিরাট বাহিনী। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চত্বরের প্রবেশপথ ছাড়াও নিউ ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের তিনটি তলাকে ছ’ভাগ করে সেখানে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন প্রচুর সংখ্যক মহিলা পুলিশকর্মীও।
এ দিন মনোনয়ন-পর্বের প্রথম দিন হলেও সেখানে কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।