প্রতীকী ছবি
মাঝবয়সি এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বিদ্যাসাগর পার্কে নর্দমা থেকে বালেশ্বর দাস (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। নর্দমায় উপুড় হয়ে পড়ে ছিল দেহটি। কী ভাবে ওই ব্যক্তি নর্দমায় পড়ে গেলেন, দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মী হিসাবে কালীঘাট এলাকায় কাজ করতেন বালেশ্বর। আদতে তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে হলেও গত এক বছর ধরে তিনি বাঁশদ্রোণীর পিরপুকুর এলাকায় ভাড়া ছিলেন। পুলিশ জেনেছে, সোমবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন বালেশ্বর। রাতে বাড়ি ফেরেননি। এ দিন নর্দমায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বালেশ্বরের পরিচয়পত্র এবং মোবাইল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। তাঁর পেট থেকে মিলেছে কাদা-মিশ্রিত জল এবং অ্যালকোহল। ফলে এটি যে খুন নয়, সে সম্পর্কে নিশ্চিত তাঁরা।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন বিদ্যাসাগর পার্কের ওই এলাকায় নর্দমাটি খোলা। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বালেশ্বর। কয়েক মাস আগে ঝাড়খণ্ড থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়া, ছেলে বিজয় দাসকে নিয়ে আসেন তিনি। বছর পনেরোর ওই কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর বাবা মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন। কখনও-সখনও রাতে বাড়িও ফিরতেন না। সোমবার রাতে এক দোকানদার বিজয়কে জানান, তার বাবা মত্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে শুয়ে আছেন। সে কথা শুনে বাবাকে খুঁজতে বেরোয় বিজয়। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পায়নি। বিজয়ের দাবি, মাঝেমধ্যে তার বাবা বাড়ি না ফেরায় সোমবারও তেমনই ঘটেছে বলে ভেবেছিল সে। পরে এ দিন পুরো ঘটনা জানতে পারে।