মৃত শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থ। —ফাইল চিত্র
রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি এবং বর্তমানে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থর সম্পর্কছিন্না স্ত্রী শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থ (৬০) এবং শাশুড়ি অর্থাৎ শর্মিষ্ঠাদেবীর মা পাপিয়া দে-কে (৭৯) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল সল্টলেকের বাড়িতে। একই বাড়ির দু’টি আলাদা ঘরে দু’জনের মৃত্যু ঘিরে তীব্র রহস্য দানা বেঁধেছে। কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাতে শর্মিষ্ঠাদেবীর এক আত্মীয় মা ও মেয়েকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পান। পুলিশ জানিয়েছে, পাপিয়া দেবী এবং শর্মিষ্ঠা দেবী দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন। আত্মীয় খোঁজ নিতে এসে দু’জনকে সংজ্ঞাহীন আবস্থায় দেখে চিকিৎসককে খবর দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বিধাননদর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকে পাশাপাশি দু’টি ঘরে বিছানার উপরে পাওয়া যায়। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দেখে দু’জনের কারও দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। তবে শর্মিষ্ঠাদেবীর মুখে সামান্য গ্যাঁজলা ছিল।
অন্য দিকে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শর্মিষ্ঠাদেবী এবং তাঁর মা কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সর্দি-জ্বরের উপসর্গও ছিল। তিন দিন আগে চিকিৎসার জন্য তাঁদের সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। করোনার উপসর্গ দেখে তাঁদের ভর্তি হতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ভর্তি না হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। ফলে মৃত্যুর সঙ্গে করোনার যোগ আছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। যদিও কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রবিবার সকাল থেকে সল্টলেকের ওই বাড়িতে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় ১০ হাজার, মোট আক্রান্তে স্পেনকে টপকে বিশ্বে পাঁচ নম্বরে ভারত
আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত পুলিশকর্মীর মৃত্যু
রাজ্যের প্রাক্তন কয়েকজন পুলিশকর্তার সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই সুরজিৎবাবুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কোনও যোগাযোগ ছিল না। তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। পেশায় শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠাদেবী ২০১৪ সালে বিজেপিত-তে যোগ দিয়েছিলেন। সল্টলেকে মহিলা মোর্চার কাজকর্মের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তবে ইদানীং তিনি সক্রিয় ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।