Belgharia

কাপড়ে মুড়ে বধূর দেহ ‘পাচার’ হাসপাতালে, আটক স্বামী

এ দিন আবাসনে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে শুনেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার পরিবেশে কাপড়ে মোড়া দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হল। পরে অবশ্য স্থানীয় মানুষ জানতে পারেন, স্থানীয় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় এমন ঘটনা শুনে প্রথমে সন্দেহ হয় বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দাদের। কাউকে কিছু না জানিয়ে কাপড়ে মুড়ে দেহটি কেন অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হল, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁরাই থানায় খবর দেন। পুলিশ নয়াপল্লির ওই আবাসনে পৌঁছয়। পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূর নাম সোনালি সাহা (৪৫)। ন’বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন আবাসনে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে শুনেছেন স্থানীয়দের অনেকেই। পুলিশ জানতে পারে অ্যাম্বুল্যান্সটি কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়েছে। সেখানে ফোন করে দেহটি আটকাতে বলে দেন তদন্তকারীরা। এর পরে হাসপাতালে গিয়ে সোনালির দেহ নিয়ে আসে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি দেহটি কাপড়ে মুড়ে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে পাঠালেন কেন? পুলিশের দাবি, প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি ওই ব্যক্তি। তাঁকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। এমনকি সমস্যা মেটাতে স্থানীয়দেরও এক সময়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ দিনও সকালে অশান্তি হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement