অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহ।
ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হল দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রশ্মিতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের খুন করা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গুজরাতি দম্পতি শেয়ার বাজারের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। তাঁদের তিন মেয়ে। এক মেয়ে ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন। তিনি সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা। এর পর ফ্ল্যাটে ঢুকে বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। ঘরে ঢুকে তিনি আরও দেখেন আলমারি খোলা এবং টিভি চলছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। পৌঁছন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী দল এবং অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। নিয়ে আসা হয় স্নিফার ডগকেও। পুলিশ কুকুর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গন্ধ অনুসরণ করে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হরিশ পার্কের দিকে যায়। রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া হিয়েছে। হোমিসাইড শাখা এবং স্থানীয় থানা বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে কী ধরনের আঘাত আছে।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্ভবত কেউ গুলি করেছে। অপরাধী ধরা পড়বেই।’’ এক তদন্তকারী বলেন, ময়নাতদন্ত হলে বোঝা যাবে ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে শাহ দম্পতির। তিনি জানান, ফ্ল্যাট থেকে হরিশ পার্ক পর্যন্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ এবং আবাসনের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখলে আততায়ীদের হদিশ মিলতে পারে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।