ফাইল চিত্র।
সকাল থেকে যোগাযোগ হয়নি পরিজনেদের সঙ্গে। রাতে খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই মোবাইল বন্ধ। কড়া নেড়েও সাড়া মেলেনি দম্পতির। শেষে রাতের দিকে দরজা ভেঙে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে। পাশের ঘরে নলি কাটা দেহ মিলেছে তাঁর স্ত্রীর। বুধবার দমদম মতিলাল লেনের এই ঘটনায় হতবাক দম্পতির পরিজনেরা। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নিঃসন্তান ওই দম্পতি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বাসুদেব ব্রহ্ম (৬৮) এবং ইন্দ্রাণী ব্রহ্ম (৫৫)। কিছু দিন আগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বাসুদেববাবু। সুস্থ হয়ে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন। পুলিশ মনে করছে, স্ত্রী-কে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বৃদ্ধ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পূর্ত দফতরের কর্মী ছিলেন বাসুদেববাবু। বছরখানেক আগে ১ নম্বর মতিলাল লেনে এক কামরার ফ্ল্যাট কিনে সল্টলেক থেকে চলে আসেন ওই দম্পতি। পাশেই থাকেন বাসুদেববাবুর দুই ভাই। হৃদ্রোগ-সহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন ইন্দ্রাণীদেবী। সম্প্রতি অসুস্থ হন বাসুদেববাবুও। সন্তান না থাকায় অবসাদেও ভুগতেন দু’জনে।
বাসুদেববাবুর ভাই ভূদেব ব্রহ্ম জানান, এ দিন সকাল থেকে দাদা-বৌদির সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁদের। ফোনে না পেয়ে রাত ন’টা নাগাদ বাড়িতে এসে খোঁজ করেন। সাড়া না পেয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ডাকেন। দরজা ভেঙে তাঁদের দেহ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট মিললে খুনের কারণ স্পষ্ট হবে।