Murder

নেপথ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ১২ ঘণ্টায় চায়না টাউন হত্যাকাণ্ডের কিনারা, গ্রেফতার মেইহা-র স্বামী

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ চায়না টাউনের বাসিন্দা লি ওয়ান সং বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ১১:০৮
Share:

নিহত লি হাউ মেইহা। নিজস্ব চিত্র

ভর সন্ধেয় জোড়া খুন। শুক্রবার চায়না টাউনে শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। দু’জনকে মাথায় ও মুখে অ্যালুমিনিয়মের বালতি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছিল আততায়ী। ঘটনাস্থল থেকে সেই রক্তমাখা বালতিও উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু, কে এই কাণ্ড ঘটাল? খুনের পিছনে কারণ কী? এ সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল তদন্তকারীদের। শেষ পর্যন্ত, মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই জালে ধরা পড়ল খুনি। স্ত্রী ও বাবাকে খুনের অভিযোগে লি ওয়ান সং নামে এক চিনা বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ চায়না টাউনের বাসিন্দা লি ওয়ান সং বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। সং পুলিশকে প্রথমে জানান, অনেক ডাকাডাকিতেও দরজা না খোলায় মই লাগিয়ে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন তিনি। বাড়িতে বাবা লি কা সং (৯০) এবং স্ত্রী লি হাউ মেইহা (৬০) –কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ওয়ান। এর পর, তিনি ট্যাংরা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে ট্যাংরা থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ। আসেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মাও। দু’জনকে যে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন তদন্তকারীরা। তবে, লুঠ না ব্যক্তিগত আক্রোশ, খুনের পিছনে কারণ কী, তা নিয়ে প্রথমে ধন্দে ছিলেন তাঁরা। পুলিশি জেরায় বারবার বক্তব্য পাল্টাতে থাকেন সং। সন্দেহ বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত লি ওয়ান সং নামে ওই চিনা বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, সন্ধে সাতটা নাগাদ স্ত্রীকে খুন করেছিলেন লি ওয়ান সং। নব্বই বছর বয়স্ক বাবাকেও রেহাই দেননি তিনি। বালতির আঘাতেও তাঁকেও খুন করা হয়। পুলিশের দাবি, এর পর বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন লি। ঘণ্টা দেড়েক বাদে ফের ফিরে আসেন। নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে পুলিশেও খবর দেন তিনি। পুলিশের অভিযোগ, অন্য দিকে তদন্তের মোড় ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

কেন স্ত্রীকে খুন করলেন লি? পুলিশের দাবি, এলাকায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তা জেনে ফেলেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। শুক্রবার তা চরমে উঠেছিল। স্ত্রীকে বালতি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার দৃশ্য দেখে ফেলেছিলেন লি-র বাবা। তাই বাবাকেও রেহাই দেননি ছেলে। গত সত্তর থেকে আশি বছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন ওই চিনা পরিবার। তাঁদের সন্তানরা বিদেশে রয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: শিল্পের হাল ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন​

আরও পড়ুন: চাপের কৌশল, রাহুল আজই শ্রীনগর সফরে​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement