ফাইল ছবি।
ভবানীপুরে জোড়া খুনের ঘটনার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এল। সূত্রের খবর, তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী পত্নী রশ্মিতা শাহের মাথার পিছনে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। ব্যবসায়ী অশোক শাহকে ছুরি মেরে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে বলেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি বাড়িতে প্রৌঢ় দম্পতির খুনের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ব্যবসায়ী অশোককে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন, গলায় কাটা দাগ। তবে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, দু’জনকেই খুন করা হয়েছে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তা হলে কি আততায়ী মৃতের পরিচিত? কারণ, জোর করে বাড়িতে ঢুকলে তার চিহ্ন থাকত। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই। তাই প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, একাধিক আততায়ী ছিল, এবং তারা শাহ দম্পতির পরিচিত।
অশোকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাইরের ঘরে। সেখানেই তাঁকে একাধিক বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। দেহের বিভিন্ন অংশে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। গলায় রয়েছে কাটা দাগ।
অশোকের স্ত্রী রশ্মিতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে ডানদিকে গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। গুলিটি মাথা দিয়ে ঢুকে কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় শোয়ার ঘরের খাটে। সেই ঘরের আলমারি ভাঙা অবস্থায় ছিল।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অশোকের কাছে এক লক্ষ টাকার একটি চেক ছিল। বাড়ি বিক্রির জন্যই এই টাকা অশোককে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেই টাকা বা ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কারণেই কি খুন? না কি জোড়া খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, খুঁজছে পুলিশ।