প্রতীকী ছবি।
দিনেদুপুরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পিটিয়ে, গুলি করে খুনের অপরাধের ২৭ বছর পরে হত্যাকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বারাসত আদালত। সাজাপ্রাপ্তের নাম মহম্মদ গুল্লা। মঙ্গলবার বারাসত আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিজয়েশ ঘোষাল এই রায় দেন।
আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৩ সালের ১২ অগস্ট লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে। অভিযোগ, ওই এলাকায় তখন বাড়ছিল সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য। নিয়মিত বসত হেরোইন, মদ, গাঁজার আসর। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন দিলীপ মণ্ডল নামে মধ্য চল্লিশের ওই ব্যক্তি। নেশার কুফল সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন করতে একটি শিবিরেরও আয়োজন করেছিলেন তিনি। ১২ অগস্ট দক্ষিণদাঁড়িতে চলছিল সেই অনুষ্ঠান।
কেন দিলীপ সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছেন, সেই রাগে কয়েক জন দুষ্কৃতী গাড়ি করে এসে লাগাতার বোমাবাজি করে ওই শিবির ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ভেঙে দেওয়া হয় মাইক।
আতঙ্কে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালান দর্শকেরা। কিন্তু দিলীপকে আটকে দেয় দুষ্কৃতীরা। মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে বুকে পরপর গুলি করা হয়। এর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দিলীপকে ছুড়ে ফেলা হয় একটি গভীর নর্দমায়।
দিনের আলোয় এমন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ গুল্লা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা চলাকালীন তিন জনই জামিন পেয়ে যায়। সরকারি কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম এ দিন বলেন, ‘‘তিন অভিযুক্তই জামিনে ছিল। দু’জনকে আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে সম্প্রতি মামলার শেষে দোষী সাব্যস্ত হয় গুল্লা। তার পরে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়।’’