ফাইল চিত্র।
শহরের বাসযাত্রী শেল্টারগুলির দেখভালের দায়িত্ব বাইরের সংস্থাকে দিয়ে থাকে কলকাতা পুরসভা। শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ওই বাসস্টপগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তার পরিবর্তে তারা সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অধিকার পাবে। নির্দিষ্ট মেয়াদের নিরিখে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি করে থাকে পুরসভা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তার নবীকরণ হয় বা ফের সংস্থা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদ্দেশ্য, যাতে বাসস্টপগুলিকে যাত্রীবান্ধব করে তোলা যায়। কারণ শহরের বহু বাসস্টপই উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারযোগ্য নয়। কিন্তু এ বার সে রকম সংস্থা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে হোঁচট খেল পুরসভা।
কারণ পুর আধিকারিকদের একাংশের মতে, নিয়ম অনুযায়ী কয়েকটি বাসস্টপের দেখভালের জন্য সংস্থার খোঁজে এর আগেও দরপত্র ডেকেছিল পুরসভা। কিন্তু সাড়া না মেলায় সম্প্রতি ফের দরপত্র ডাকা হয়। তবে এ বারও কতটা সাড়া পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না পুর আধিকারিকেরা। এক পদস্থ পুরকর্তার কথায়, ‘‘২৯টি বাসস্টপ দেখভালের দায়িত্ব দিতে সংস্থা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বার দরপত্রে আশাব্যঞ্জক সাড়া না পাওয়ায় ফের দরপত্র ডাকতে হয়েছে। দেখা যাক এ বার কী হয়।’’
তবে শুধু বাসস্টপের ক্ষেত্রেই নয়, রাস্তার বাতিস্তম্ভ কিয়স্কের দেখভালের জন্য সংস্থা বাছাইয়েও একই বাধা এসেছে। এ ক্ষেত্রেও প্রথম বার দরপত্র ডেকে সাড়া না পাওয়ায় ফের ডাকা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকার অধীনস্থ পাঁচটি ক্লাস্টারের মোট ১০ হাজার ৫৭৬টি কিয়স্কের দেখভাল এবং সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অধিকারের শর্তে সংস্থার খোঁজ চলছে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘চলতি মাসের শেষে দ্বিতীয় বার দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে মনে হয়।’’