রাস্তার কী হাল, ঘুরে দেখলেন পুরকর্তারা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাস্তার হাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই গত কয়েক দিন ধরে রাস্তার খানাখন্দ সারাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুর প্রশাসন। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, সারানোর পরে রাস্তাগুলির হাল এখন কেমন, কোথায় এখনও কাজ বাকি রয়েছে, তা দেখতে শনিবার ফের পথে নেমেছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রায়ই বসে যাচ্ছে ম্যানহোল। তাতে রাস্তার মসৃণতা নষ্ট হচ্ছে। শনিবার রাস্তা পরিদর্শন করতে বেরিয়ে ওই ধরনের ম্যানহোল নজরে পড়ে পুর কমিশনারের। কেন এমনটা হচ্ছে, তার কারণ জানতে চান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যানহোল তৈরির পরে তা শুকোনোর জন্য যে সময় দেওয়া উচিত, অনেক সময়েই তা দেওয়া হয় না। তাই গাড়ি চলাচলের চাপে বসে যায় ম্যানহোল। এখন থেকে ম্যানহোল তৈরির পরে তা শুকোতে সময় দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হবে। তাতে ট্র্যাফিকের একটু অসুবিধা হলেও রাস্তার স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। এমনটাই মনে করছেন পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এ বার থেকে ম্যানহোল নতুন করে বসানোর পরে তা ঘিরে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হবে ঠিকাদার সংস্থাকেও।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাস্তার হাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই গত কয়েক দিন ধরে রাস্তার খানাখন্দ সারাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুর প্রশাসন। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, সারানোর পরে রাস্তাগুলির হাল এখন কেমন, কোথায় এখনও কাজ বাকি রয়েছে, তা দেখতে শনিবার ফের পথে নেমেছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরী-সহ বিভিন্ন দফতরের সাত জন ডিজি এবং ট্র্যাফিক পুলিশের এক পদস্থ অফিসারও। দু’টি বাসে চড়ে এ দিন বিকেলে পুরভবন থেকে বেরোয় পুরসভার ওই দল। কোন কোন রাস্তা তাঁরা দেখবেন, তা আগে থেকেই জানিয়ে রাখা হয়েছিল পুলিশকে। চৌরঙ্গি রোড, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস ঘুরে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ হয়ে সোজা গড়িয়াহাট। সেখান থেকে ঢাকুরিয়া হয়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে তাঁরা পৌঁছন দেশপ্রাণ শাসমল রোডে। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি সিনেমা হলের পাশে ভাঙা ফুটপাথ দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরসভার গাড়ি। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই কাজ শুরু করার নির্দেশ আগেই পাঠানো হয়েছিল। তাই পুরকর্তাদের নামার আর প্রয়োজন হয়নি। গাড়িতে বসেই তাঁরা দেখতে পান, কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, পুরসভার নিজস্ব রাস্তা ছাড়াও শহরের বুকে থাকা অন্য সংস্থার মালিকানাধীন ভাঙাচোরা রাস্তাগুলিও দেখতে যাবেন পুরসভার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই সব রাস্তায় আর যাননি তাঁরা। দেশপ্রাণ শাসমল রোড ধরে পুর প্রতিনিধিরা সোজা রাসবিহারী অ্যাভিনিউ অতিক্রম করে হাজরা মোড়ে আসেন। সেখান থেকে গোপালনগর, বর্ধমান রোড হয়ে খিদিরপুরমুখী ডায়মন্ড হারবার রোডে পড়েন তাঁরা। তার পরে খিদিরপুর ব্রিজ পার হয়ে সোজা রাস্তা ধরে পুরসভায় ফেরেন। পুর প্রতিনিধিরা এ দিন যে সব বড় রাস্তায় পরিদর্শন করেছেন, তার হাল নিয়ে আপাতত সন্তুষ্ট তাঁরা। পুর কমিশনার জানান, ফের রাস্তার হাল দেখতে বেরোবেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement