হেলে পড়া বহুতলটি (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
তিলজলার শিবতলা লেনে হেলে একটি বহুতল। পাশের একটি বহুতলের গায়ে হেলে গিয়েছে ওই বহুতলটি। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িটির অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। দু’টি বাড়িই খালি করে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলও। বসেছে পুলিশি প্রহরা।
বুধবার রাতে ঘটনা সামনে এলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই শিবতলা লেনের ১২/১১ নম্বরের ওই পাঁচতলা বাড়িটি হেলে রয়েছে পাশের ১২/১২ নম্বরের পাঁচ তলা বাড়িটির উপর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় পাশের ভবনের এক মহিলা আবাসিক এ নিয়ে হইচই শুরু করেন। তিনিই লোকজন ডেকে জড়ো করেন। ওই হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। এলাকায় ভিড় জমে যায়। তারপরই পুলিশে খবর গেলে ঘটনা জানাজানি হয়।
পরে পুলিশ, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং দমকলের কর্মীরা গিয়ে দু’টি বাড়িই খালি করে দেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও দমকলের অনুমতি ছাড়া ওই বাড়িতে আর কেউ ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আবাসিকদের।
খবর পেয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি বাড়ি হালহকিকত সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। দুটি বাড়ির মধ্যে মাটিতে দূরত্ব ছ’ফুটের মতো হলেও পাঁচ তলায় গিয়ে কার্যত আর কোনও দূরত্বই নেই। একটি অন্যটির গায়ে গেলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘৩০ জনের নীচে চাপা পড়েছিলাম, বেঁচে আছি বিশ্বাস হচ্ছে না’
পুরসভা সূত্রে খবর, হেলে যাওয়া বাড়িটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে কিনা, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। বাড়ির ভিতের অবস্থা কি তাও দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ‘অভ্যুত্থান’ সিবিআই দফতরে, কী ভাবে কী হল...
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হেলে পড়া বহুতলটি ২০০৯ সালে তৈরি শুরু হয়। শেষ হয় ২০১১ সালে। নির্মাণ শেষ হওয়ার মাত্র সাত বছরের মধ্যেই কীভাবে বাড়িটি হেলে পড়ল, তা খতিয়ে দেখছেন পুরসভার আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।