ফাইল চিত্র।
এক বছরের শিশুসন্তানকে রেললাইনে বসিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মাকে আটক করল পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর স্টেশন এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ থানায় খবর আসে, এক মহিলা তার কন্যাসন্তানকে রেললাইনে বসিয়ে রেখে ভিড়ে মিশে গিয়েছে। শিশুটির কান্না শুনে জড়ো হন স্থানীয় লোকজন। স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে এলাকায় নিয়ে আসেন। খবর যায় সোনারপুর থানায়। সেখানকার কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মীরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
তদন্তকারী মহিলা পুলিশ অফিসার প্রিয়া সেন জানান, খোঁজখবরকরে জানা যায়, শিশুটির মায়ের নাম আশা দাস। এলাকা থেকেইতাকে খুঁজে বার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, আশার বাড়িবারুইপুর থানা এলাকার দাসপাড়ায়। থানায় আনার পরে অসংলগ্নকথাবার্তা বলছিল সে। তা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করারপরে আশার বাড়ির ঠিকানা উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় তার মা শ্যামলী দাস ও শাশুড়ি লক্ষ্মী রুইদাসের সঙ্গে। তাঁরা থানায় আসেন।
শ্যামলী ও লক্ষ্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরোত আশা। ফিরে আসত ঘণ্টাখানেক পরে। এ দিনও সে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিল। তার বেশ কিছু ক্ষণ পরে থানা থেকে বাড়িতে খবর যায়। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে আশা জানিয়েছে, ঘুরতে বেরোনোর পরে তার মেয়ে খুব কান্নাকাটি করছিল। এতেই তার মাথা গরম হয়ে যায়। রাগের বশে রেললাইনে মেয়েকে বসিয়ে সে চলে গিয়েছিল।
আশার মা ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জেনেছে, মেয়ে হওয়ার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিল আশা। মেয়ের কান্না, নানা রকম বায়না সে সহ্য করতে পারত না। পুলিশের ধারণা, অবসাদ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। এ দিন থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে আশা বলে, ‘‘মেয়ে সব সময়ে বায়না করে, কাঁদে। আমার মাথা ঠিক থাকে না।’’ দুপুর ১টা নাগাদ শিশু-সহ পরিবারটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বলে সোনারপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।