প্রতীকী ছবি।
মশা নিয়ন্ত্রণ করতে স্প্রে ও ধোঁয়া দেওয়ার পাশাপাশি ঝোপজঙ্গল সাফ করা হয় বছরভর। কিন্তু তাতেও মশার উপদ্রব কমাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। মশাবাহিত রোগে ফি বছর অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও।
মশার হাত থেকে মুক্তি পেতে এ বার তাই বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র বসাতে চলেছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)। এ বিষয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। মশাদের আকর্ষণ করে একটি জায়গায় নিয়ে এসে মেরে দেয় ওই যন্ত্র।
পরীক্ষামূলক ভাবে ওই যন্ত্র বসানো হবে নিউ টাউনে। যদি দেখা যায় ওই যন্ত্রে মশা কমছে, তা হলে এমন যন্ত্র আরও আনাবে এনকেডিএ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এনকেডিএ-র। ওই যন্ত্রটির পোশাকি নাম ‘মসকুইটো ম্যাগনেট’। ওই যন্ত্র এক একর জায়গা জুড়ে থাকা মশাদের একটি জায়গায় টেনে আনতে পারবে। সেখানে থাকবে মশারির জালের মতো একটি নেট। ওই নেটের মাধ্যমেই মশা মারা হবে। এলপিজি-র মাধ্যমে চালানো হবে ওই যন্ত্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, বাড়িতে মশা মারতে নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তাতে একটি নির্দিষ্ট পরিসরে মশার উপদ্রব কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এক একর জায়গা জুড়ে কোনও রাসায়নিক ছাড়াই স্রেফ যন্ত্রের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যে সম্ভব, এমনটা আগে শোনা যায়নি। তাঁদের বক্তব্য, যন্ত্রটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার সফল হলে মানুষ খুবই উপকৃত হবেন।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, যন্ত্রটির কার্যকারিতা সম্পর্কে তাঁদের বিশদে বোঝানো হয়েছে। এর পরে পরীক্ষামূলক ভাবে সেটির ব্যবহার করে দেখা হবে। সেই ব্যবহারের সাফল্যের উপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। ওই কর্তা জানান, এই ধরনের যন্ত্র বিদেশে ও দেশের কিছু কিছু জায়গাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।