লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন থেকে এ পর্যন্ত শহরে উদ্ধার হয়েছে এক কোটিরও বেশি নগদ টাকা। পাশাপাশি, ভাল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতায় ভোট গ্রহণ আরও দিন ২০ পরে। তার আগে উদ্ধার হওয়া নগদের অঙ্ক কোটি টাকা ছাড়ানোয় চিন্তা বেড়েছে লালবাজারের কর্তাদের।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেড় মাসে কলকাতা থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদের পরিমাণ ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। সোমবার রাতেও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে শহরে। হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে নগদ আট লক্ষ টাকা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয়কুমার যাদব। ক্লাইভ রো এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, তাঁর অফিসেও তল্লাশি চালিয়ে তিন হাজার আমেরিকান ডলার এবং কয়েক লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা কী উদ্দেশ্যে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে লালবাজারের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
শুধু হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার এই ঘটনা নয়, শহরের একাধিক জায়গা থেকে নগদ টাকা
উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বড়বাজার, ধর্মতলা চত্বর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। প্রতিটি ঘটনাতেই আলাদা মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি, কোথা থেকে নগদ টাকা আনা হচ্ছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, শহরে নির্বাচনের আগে এই ভাবে টাকা উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বারই নির্বাচনের মুখে নগদ টাকা উদ্ধারের উপরে জোর দেওয়া হয়। এ বার অবশ্য নির্বাচনের দিন ২০ আগেই উদ্ধার হওয়া নগদের অঙ্ক কোটি টাকা ছাড়ানোয় চিন্তায় লালবাজারের কর্তারা।
এ দিকে, নগদ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি শহরে নির্বাচন ঘিরে অশান্তি এড়াতে ইতিমধ্যেই থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল নিজে বিভিন্ন থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু নগদ উদ্ধার নয়, অপরাধ কমাতে দাগি আসামিদের নজরে রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা বললেন, ‘‘নির্বাচনের আগে শহরে যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে। থানাগুলিকেও সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, লালবাজারের বিশেষ দলও অভিযান চালাচ্ছে।’’