ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই কলকাতায় নামতে পারে আরও গোটা দশেক ইলেকট্রিক বাস। আপাতত নির্মাণ সংস্থার তৈরি একটি নমুনা বাস (প্রোটোটাইপ) নিউ টাউনকে কেন্দ্র করে কলকাতার পাঁচটি রুটে দফায় দফায় চালিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বরাত দেওয়া বাসে প্রয়োজনীয় রদবদল করা হবে বলে খবর।
রাজ্য পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ‘ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অব ইলেকট্রিক ভেহিকলস্ ইন ইন্ডিয়া’ (ফেম) প্রকল্পের আওতায় ১৫০টি বাস রাজ্যে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ৫০টি বাস নিউ টাউনকে কেন্দ্র করে কলকাতার দশটি রুটে চলার কথা। অন্য বাসগুলি চলার কথা হলদিয়া, আসানসোল ও দুর্গাপুরে। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী, নির্মাণ সংস্থাকেই ওই বাস চালানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। পরিবহণ নিগম শুধু কন্ডাক্টর সরবরাহ করবে। সারা মাসে প্রতিটি বাসকে ন্যূনতম পাঁচ হাজার কিলোমিটার চলতে হবে। বাসের ভাড়া মেটাবে রাজ্যই। তবে বাস নির্দিষ্ট দূরত্ব চলার পরে কোনও কারণে আয় কম হলে সেই টাকা ভর্তুকি হিসেবে বাস নির্মাণ সংস্থাকে দেবে তারা।
আপাতত এই প্রকল্পের আওতায় একটি বাস নমুনা হিসেবে এসে পৌঁছেছে। সেটি একলপ্তে চার দিন করে সাপুরজি-ইডেন সিটি, প্রাইড প্লাজ়া-পার্ক সার্কাস, বারাসত-সাপুরজি, ইকো স্পেস-লেক টাউন এবং সাঁতরাগাছি-ইকো স্পেস রুটে চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন হচ্ছে দু’টি ট্রিপ। এই বাস রুটগুলির মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটও আছে। পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, বাসের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতেই যাত্রী নিয়ে সেটি চালানো হচ্ছে। কোথাও সমস্যা হলে তা নির্মাণ সংস্থার নজরে আনা হবে। সব ঠিক থাকলে কলকাতার ৫০টি বাসের মধ্যে ১০টি বাস পুজোর আগেই রাস্তায় নামতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একটি বাসপ্রেমী সংগঠনের তরফে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাতানুকূল, বৈদ্যুতিক বাসগুলিতে চড়ে প্রাথমিক ভাবে ভালই লেগেছে। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষা মিটলেই এগুলির কার্যক্ষমতা স্পষ্ট হবে।’’
সাধারণ যাত্রীদের অভিজ্ঞতা বলছে, ইলেকট্রিক বাসের গতি এবং ঝাঁকুনি ডিজ়েলচালিত বাসের তুলনায় কিছুটা কম। তারতম্য রয়েছে ভার বহন ক্ষমতার ক্ষেত্রেও। তবে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, নতুন এই বাসগুলি অনেক উন্নত মানের। পরিবহণ নিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা বাড়লে উন্নত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে জ্বালানি বাবদ খরচের বোঝাও কমবে।’’