কলকাতায় করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। —প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় আট জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। বৃহস্পতিবার শহরে তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগীর কথা জানা গিয়েছিল। শুক্রবার আরও পাঁচ জনের সন্ধান মিলেছে। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ওই আট জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে ছ’মাস বয়সি এক শিশুও।
মোট আট জনের মধ্যে এক জনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছ’মাসের ওই শিশুকে রাখা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ছাড়া, মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’জন রোগীর দেহে মিলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। তাঁদের মধ্যে এক জন মিডলটন রোড এবং অন্য জন ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। এই রোগীদের এক জন আবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর দেহে করোনার ভাইরাসও পাওয়া গিয়েছে।
আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন এক জন। ৫৮ বছর বয়সি ওই রোগী বেহালার বাসিন্দা। এ ছাড়া, ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চার জনের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তবে ওই চার জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নন। তাঁরা বাড়ি থেকেই করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এঁদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্তদের এক জন সম্প্রতি একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরেই তাঁর সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
বিশ্ব জুড়ে নতুন করে ভয় দেখাতে শুরু করেছে করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১। গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় প্রথম এই উপরূপের খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে একাধিক দেশে উঁকি দিয়েছে জেএন.১। চিনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেএন.১ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালগুলিতে বেড়েছে ভিড়ও। ভাইরাসের এই উপরূপের সন্ধান মিলেছে ভারতেও।
কেরলে প্রথম জেএন.১ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। ওই রাজ্যে এখন একাধিক রোগী আছেন। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। করোনা নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতায় যে আট জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি জানা গিয়েছে, তাঁদের দেহে জেএন.১ আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এর জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।