প্রতীকী ছবি।
হরিদেবপুরের একটি হোমে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে লক্ষ্মী দাস এবং রাজিয়া বিবি নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। তাঁরা ওই হোমেরই কর্মী। এই ঘটনায় বুধবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল হোমটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ জ়েভিয়ার রাজ নামে এক ব্যক্তিকে।
পুলিশি সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই তরুণী হোমটিতে তাইকোয়েন্ডোর শিক্ষিকা। দিন দুয়েক আগে হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, দিনের পর দিন হোমের কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন অরুণ। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও এনেছেন তরুণী। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরে ওই হোমে বহিরাগতদের যাতায়াত লেগে থাকত। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানালে অরুণ তাঁকে ভয় দেখাতেন বলেও অভিযোগ।
পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন অশালীন ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে হোমের দুই কর্মী লক্ষ্মী ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, তাঁরা ওই তরুণীর কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি হোমটির বৈধ লাইসেন্স ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতদের এ দিন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং জানান, প্রকৃত ঘটনা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। এর পরেই অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে হই-হট্টগোল শুরু করেন। চেঁচামেচিতে অন্য মামলার শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। বিচারক আসন ছেড়ে নেমে যান। দীর্ঘ সময় পরে আবার শুনানি শুরু হয়। বিচারক ইন্দ্রনীল হালদার অরুণকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজত দেন। বাকি দু’জনের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়।