ফাইল চিত্র।
মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে জানাল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ময়দান এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে মেট্রোর কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই মামলাই বৃহস্পতিবার খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, গাছ কাটা হলেও আবার গাছ লাগানোর কথা জানিয়েছে মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল। অথচ এই তথ্য আদালতকে সঠিক ভাবে জানাননি মামলাকারী। তা ছাড়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করে কাজ শুরু করে নির্মাণ সংস্থা। আদালত মনে করছে, সংবাদমাধ্যমের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মামলাটি খারিজ করে আরভিএনএল-কে নির্মাণ কাজ চালিয়ে অনুমতি দেওয়া হল।
মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় ৭০০ গাছ কাটা পড়তে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে গত বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন কলকাতা’ নামে একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য, ময়দান এলাকা শহরের ফুসফুস। সেখানে এত গাছ কাটা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। ১৯৫০ সালের পর থেকে শহরের তাপমাত্রা এখন সব থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গাছ কাটা বন্ধ করা হোক।
সেই সময় হাই কোর্ট তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং বিভাসরঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, আপাতত মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দান এলাকায় গাছ কাটা বন্ধ রাখা উচিত। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য যতগুলি গাছ কাটার কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। ময়দানে প্রচুর মানুষ রোজ ঘুরতে আসেন। প্রাতর্ভ্রমণে আসেন। যে কোনও মানুষ স্বীকার করবেন ময়দান শুধু ঘোরার জায়গা নয়। এই প্রসঙ্গগুলি উল্লেখ করার পর ময়দানে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।