আলিপুর জেল।ফাইল চিত্র।
আবারও মোবাইল উদ্ধার। সঙ্গে গাঁজার প্যাকেটও। ঘটনাস্থল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। এই ঘটনায় বিজয় দাস নামে এক বিচারাধীন বন্দির নামে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, কখনও কখনও পাঁচিল টপকে আলিপুরে মোবাইল-গাঁজার প্যাকেট উড়ে আসে। আর এদিনও সেভাবেই কাপড়, পিচ বোর্ড এবং সেলোটেপ সহযোগে একটি বাক্স পাঁচিলের পাশে পড়ে। অভিযোগ, সেই বাক্স নিয়ে ওয়ার্ডের দিকে যাচ্ছিল খুনের মামলায় বছর পাঁচেক ধরে সংশোধনাগারে থাকা বিজয়। সেই সময়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে সে। সূত্রের খবর, প্যাকেটটি থেকে ছ’টি মোবাইল এবং প্রায় ৬০টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
এ দিনের ঘটনার সঙ্গে শুধুমাত্র বিজয়ই নয়। এই প্যাকেট পাচারের পিছনে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দি খোকন নস্কর মূল চক্রী বলে কারা দফতরের প্রাথমিক অনুমান। সঙ্গে সিকান্দার নামে এক বিচারধীন বন্দিও রয়েছে। সে-ও একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। অভিযোগ, এই ধরনের প্যাকেট ভিতরে যাওয়ার পরে ওই গাঁজাগুলি বন্দিদের কাছে বিক্রি করে খোকন-সিকন্দারেরা। এর আগে খোকন-সিকন্দারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিজয় এ দিন তাদের কাছে গাঁজার প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক অনুমান কারা দফতরের। যদিও বিজয় তা অস্বীকার করেছে। খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
দশমীর সকালেও আলিপুর সংশোধনাগারের পাঁচিলের পাশ থেকে মোবাইল এবং গাঁজা-সহ প্যাকেট উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।