কচুরিপানা ভর্তি এই পুকুরে পড়ে গিয়েছিল হুডি। (ডান দিকে) উদ্ধারের পরে। নিজস্ব চিত্র
দমকল বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাতভর সকলেই খোঁজ করেছিল তার। পুকুরে তার খোঁজে ডুবুরিও নেমেছিল। কিন্তু তার হদিস মেলেনি। ফের রবিবার সকালে তার খোঁজে পুলিশকর্মীরা পৌঁছন পুকুরপাড়ে। বেশ কয়েক বার নাম ধরে ডাকার পরে গুটি গুটি নিজেই কচুরিপানার উপর দিয়ে হেঁটে চলে এল হুডি।
তিলজলা থানা এলাকার তপসিয়া রোডের বাসিন্দা মেহর হুয়াংয়ের দুই পোষ্যের একটি হুডি। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ খবর আসে মেহর তাঁর গাড়ির চালকের সঙ্গে দুই পোষ্যকে ঘুরতে পাঠিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন লকডাউনে বাইরে বেরোতে পারেনি পোষ্যেরা। চালক গাড়িতে বসিয়ে হুডি ও আর এক পোষ্যকে ময়দান থানা এলাকায় টেরিটোরিয়াল আর্মি অফিসার্স ইনস্টিটিউটের ধারে নিয়ে যান। এক সময়ে তিনি খেয়াল করেন হুডি নেই। অনেক ডাকাডাকি করেও মেহরের গাড়িচালক হুডির খোঁজ পাননি। ওই জায়গার পাশেই একটি কচুরিপানায় ভর্তি পুকুরও রয়েছে। হুডি সেখানে পড়ে গিয়েছে কি না, তা নিয়েও উৎকণ্ঠা বাড়ে চালকের। তিনি ভয়ে ফোন করেন মালিক মেহরকে।
এর পরেই ফোন আসে ময়দান থানা ও দমকলের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে, কুচুরিপানার মধ্যে কোথাও খোঁজ মেলেনি তার। ডুবুরি নামিয়েও লাভ হয়নি। হুডিকে ছাড়া রাতে এক পোষ্যকে নিয়েই বাড়ি ফেরেন মেহর।
কিন্তু ময়দান থানার পুলিশ সকাল হতেই মালিককে নিয়ে ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও। এ দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেহরের সঙ্গে পুলিশকর্মীরাও পুকুরের কাছে গিয়ে হুডির নাম ধরে ডাকতে থাকেন। আর তখনই আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে হুডি। সুস্থ অবস্থায় হুডি উদ্ধার হওয়ায় মেহরের সঙ্গে ময়দান থানার পুলিশকর্মীরাও খুশি।