ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় ক্লাবের সামনে কয়েকজন বাইক আরোহী ‘রেস’ করছিল। সেই প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করেন ক্লাবের কয়েকজন সদস্য। নিজস্ব চিত্র
শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ হঠাৎই দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলল দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয় সঙ্ঘে। এই ক্লাবের চেয়ারম্যান রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে ক্লাবের সম্পত্তি। মধ্যরাতে হঠাৎ করে এই হামলা চলায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার সকালে বলেন, ‘‘শনিবার রাতেই উদয়ন সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছি প্রশাসনকে। আমি এতদিন ওই এলাকায় থাকি, এমন ‘বাইক বাহিনী’-র তাণ্ডব আগে কখনও দেখিনি। প্রশাসনকে বলেছি, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে যেন গ্রেফতার করা হয়। তবে এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই।’’
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ক্লাবের সামনে কয়েকজন বাইক আরোহী ‘রেস’ করছিল। ঝুঁকিপূর্ণ সেই প্রতিযোগিতা করার বিরোধিতা করেন ক্লাবের কয়েকজন সদস্য। এক বাইক আরোহী ক্লাবের সদস্যকে ধাক্কা মারায় বাকি সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। কথা কাটাকাটিও হয়। সেই সময়েই নাকি হুমকি দিয়ে যায় ওই বাইক আরোহীরা। সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদক অঞ্জন দাস বলেছেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই লাঠি নিয়ে এসেছিল। ক্লাবের পাশেই পানু ঘোষ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা থাকেন। ক্লাবে গোলমাল হচ্ছে ভেবে তিনি এগিয়ে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পাড়ায় এমন চলতে পারে না। আশা করি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’’
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বাইক আরোহীরাই রাতে ফিরে আসে। ভাঙচুর চালায় ক্লাব ঘরে। বাইকে করে প্রায় ১৫-২০ জন রাতে এসেছিল বলে দাবি ক্লাবের। ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ক্লাবের দুই সদস্য। ভিডিয়োত দেখা গিয়েছে, নির্বিচারে ক্লাবের কাচের জানলা, অন্য সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রয়াত ‘মছলিবাবা’ মনু মুখোপাধ্যায়
প্রতিবেশীদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই তাণ্ডবের ছবি।পুলিশ আপাতত মোবাইলে তোলা সেই ভিডিয়োর ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। হামলাকারীরা প্রত্যেকেই হিন্দিভাষী বলে দাবি করছেন ক্লাবের সদস্যরা। মামলা রুজু করা হয়েছে নেতাজি নগর থানায়। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
আরও পড়ুন : বড়দিনে বিরল দর্শন, ৮০০ বছরে সবচেয়ে কাছে বৃহস্পতি-শনি