প্রতীকী ছবি।
বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে একটি পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্যারাকপুর বড় কাঁঠালিয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়ির সদস্যেরা ঘুম ভেঙে পড়শিদের ফোন করলে তাঁরাই আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করেন পরিবারটিকে। টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহকর্তা সুজয় মণ্ডল। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পরিবারের সাত সদস্য। কেন এমন ঘটনা ঘটল, ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বছর পাঁচেক আগে পেশায় গ্রাফিক ডিজ়াইনার সুজয়বাবু সেখানে জমি কিনে বাড়ি করে থাকতে শুরু করেন। পরিবারটি এলাকায় মিশুকে বলেই পরিচিত। তাই এমন ঘটনায় অবাক স্থানীয় সকলে।
সুজয়বাবুর স্ত্রী ফাল্গুনী মণ্ডল বলেন, “গভীর রাতে কিছু একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। প্রথমে মনে হয়েছিল বৃষ্টি হচ্ছে। টিনের চালে জল পড়ার মতো আওয়াজ হচ্ছিল। এর পরেই কেরোসিনের গন্ধ পাই। রান্নাঘরে যেতে গিয়ে দেখি মেঝেতে কেরোসিন পড়ে। তাকিয়ে দেখি রান্নাঘরের জানালার বাইরে আগুন জ্বলছে। আমিই সবাইকে ডেকে তুলি। বেরোতে গিয়ে বুঝি দরজা বাইরে থেকে বন্ধ।”
সুজয়বাবু জানান, বেরোতে না পেরে তাঁরা সামনের বাড়ির এক জনকে ফোন করেন। তাঁরাই দরজা খুলে মণ্ডল পরিবারের সকলকে বাইরে নিয়ে আসেন। ওই পড়শিরা আরও কয়েক জনকে ডেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন। তখনও আগুন পুরো বাড়িতে ছড়ায়নি। বাড়ির সদস্যদের দাবি, পুরো বাড়ি এবং চালে কেরোসিন ছড়ানো হয়েছিল। তাঁরা যখন পড়শিদের ফোন করছেন, তখন কয়েক জনকে বাড়ির পাশ দিয়ে ছুটে পালাতে দেখেছেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে টিটাগড় থানায় ফোন করা হয়। পুলিশ অবশ্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুজয়বাবু বলেন, “কারও সঙ্গেই আমাদের শত্রুতা নেই। তার পরেও কে, কেন এমন করল বুঝতে পারছি না। ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুমোতে পারছি না।” সুজয়বাবুর স্ত্রী জানাচ্ছেন, আতঙ্কে ঘুম নেই তাঁদের দু’বছরের ছেলেরও। তাঁর কথায়, “পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, আসল দোষী কারা। সত্যিটা জানা আমাদেরও দরকার।”