অবৈধ নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে নামায় হুমকির মুখে পড়লেন বারুইপুর মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। অভিযোগ, মঙ্গলবার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন যুবক মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরে ঢুকে এক কর্মীকে হুমকি দিয়ে ওই অভিযান বন্ধের জন্য চাপ দেয়। ওই দিনই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বারুইপুর হাসপাতালের সুপার জয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ জানায়, রাজ্যে শিশু পাচার কাণ্ডের জেরে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৫টি নার্সিংহোম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বারুইপুর মহকুমায় বন্ধ হয়েছে ১২টি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল ৩টে নাগাদ বারুইপুরের মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকে পড়ে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃদুল ঘোষ তখন অফিসে ছিলেন না। ছিলেন রিঙ্কু দত্ত নামে এক সরকারি কর্মী। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজে বাইরে গিয়েছেন শুনে ওই যুবকেরা তাঁকে নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে হুমকি দেয়। অন্যথায় ফল ভাল হবে না বলে চেয়ার-টেবিল উল্টে দিয়ে ওই যুবকেরা চলে যায় বলে অভিযোগ। বুধবার মৃদুলবাবু বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পরে আমার অফিসের কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশকে বলেছি, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে।’’
মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসটি বারুইপুর হাসপাতাল চত্বরেই। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা জানান, হাসপাতাল চত্বরে এক জন কনস্টেবল ও এক জন সিভিক পুলিশ রাখা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে বারুইপুরের ফুলতলার এক নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। ওই ঘটনার সঙ্গে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।