সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে তিন দুষ্কৃতী।
পুরভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু তার আগেই অশান্তির ইঙ্গিত বিধাননগরে। রবিবার ভোর রাতে বিধাননগরের দত্তাবাদ এলাকায় পর পর বোমা ছুড়ে গেল কয়েক জন দুষ্কৃতী। রবিবার সকালে বিধাননগর পুলিশ তিনটি শক্তিশালী কৌটো বোমা উদ্ধার করে ওই এলাকা থেকে। বোমা গুলি না ফাটায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতে এলাকায় অশান্তি পাকাতে চাইছে কিছু দুষ্কৃতী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দত্তাবাদের কালী মন্দিরের সামনে প্রথমে লাল রঙের একটি কৌটো দেখতে পান উত্তম কর নামে এক বাসিন্দা। তিনি প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও, কৌটোর গায়ে কালো রঙের টেপ আটকানো থাকায় তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি এলাকার বাসিম্দাদের দেখান কৌটোটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন কৌটোটিকে বোমা হিসাবে চিহ্নিত করেন। তারপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানায় খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়দের পরামর্শে উত্তম বোমাটিতে জল ঢালেন এবং পরে একটি জল ভর্তি বালতিতে তুলে রাখেন যাতে আচমকা বোমাটি না ফেটে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং তদন্তের সময় তাঁরা আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন। সেই রকমই একটি ফুটেজ থেকে জানা যায়, ভোর ৩টে ৫ মিনিট নাগাদ মন্দিরের উল্টোদিকের গলি থেকে মাথায় হেলমেট ঢাকা কয়েক জন যুবক কিছু ছুড়ে মারছে। আরও কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাইকে চড়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা ছিল হেলমেটে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইকগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বর বার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এর পর পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ওই ধরনের কৌটো উদ্ধার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রত্যেকটিই বোমা।
আরও পড়ুন- বাঁশের সঙ্গে রোগীকে বেঁধে চলত অস্ত্রোপচার
আরও পড়ুন- চার হাজার টাকায় গর্ভপাত করিয়ে প্রতারণা
ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল দত্তের অভিযোগ, ‘‘আমাদের এলাকা দীর্ঘদিন ধরে শান্ত। তাই অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু লোক।” নির্মলের অভিযোগ,‘‘ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে। রাজনৈতিক মদতেই বোমা ছোড়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি তাঁরা দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করবেন।”