অটোই ‘দাদা’, মালুম হল মন্ত্রীর

বেপরোয়া অটোচালকের কারণে সকালেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ বছরের কলেজছাত্রী। আবার শুক্রবার বিকেলেই এক দল অটোচালকের বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় পেলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। অভিযোগ, এতটাই ‘বেপরোয়া’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৩
Share:

বেপরোয়া অটোচালকের কারণে সকালেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ বছরের কলেজছাত্রী। আবার শুক্রবার বিকেলেই এক দল অটোচালকের বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় পেলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। অভিযোগ, এতটাই ‘বেপরোয়া’ সেই অটোচালকেরা যে, মন্ত্রীকে লালবাতি জ্বালানো গাড়ি থেকে নেমে আসতে দেখেও গালিগালাজ করতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

সূত্রের খবর, এ দিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক সেরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মির্জা গালিব স্ট্রিটে নিজের অফিস খাদ্য ভবনে যাচ্ছিলেন। মন্ত্রীর গাড়ি, তার আগে-পিছনে দেহরক্ষীদের গাড়ি। লিন্ডসে স্ট্রিট দিয়ে ঢুকে সোজা গেলে মির্জা গালিব স্ট্রিটের উপরেই খাদ্য ভবনের প্রধান গেট। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়, মির্জা গালিব স্ট্রিট দিয়ে যাতায়াত করা সব অটো ওই গেটের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীদের প্রতীক্ষায়। মন্ত্রী জানান, ঠিক ঢোকার মুখে গেট জুড়ে দাঁড়িয়ে তখন চারটি অটো। লালবাতি জ্বালানো গাড়ি দেখেও তারা সরেনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে নামতে দেখে দু’টো অটো চলে যায়। দু’টো অটো তবুও সরে না। তখন আমার রক্ষীরা এগিয়ে গিয়ে তাঁদের সরতে বললে গালিগালাজ শুরু করেন অটোচালকেরা।’’ এ সবের মধ্যেই পাশ কাটিয়ে মন্ত্রী ভিতরে ঢুকে গিয়ে নিউ মার্কেট থানার পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানায়। উল্লেখ্য, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে খাদ্য ভবনের সামনে। তখনও জানানো হয়েছিল নিউ মার্কেট থানায়। তবু সমাধান হয়নি।

পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। নিউ মার্কেট থানা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এ রকম কোনও লিখিত অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement