হতাশ: চড়া দামের আঁচে ক্রেতাদের দেখা মিলছে কমই। আনাজের পসরা নিয়ে অপেক্ষায় বিক্রেতারা। মঙ্গলবার, শিয়ালদহ বাজারে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
আনাজের দামে হাত পুড়ছিল আগেই। এ বার মাছ-মাংস-ডিমের দাম নিয়েও বাড়ছে চিন্তা। খাসির মাংসে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ কিছু মাছ বাদ দিলে অধিকাংশ ভাল মাছের দামও বেশ বেশি। মুরগির মাংস কিনতে গেলেও ভাবতে হচ্ছে।
আনাজ, ফল, ভোজ্য তেল থেকে মাছ, মাংস— সব কিছুরই আগুন দাম। তার উপরে রান্নার গ্যাস ও জ্বালানির দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে সমস্যা বেড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। প্রতি গ্রীষ্মেই মাছের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এ বার এক কেজি খাসির মাংস ৮০০ ছুঁইছুঁই। তাই তুলনায় সস্তা পোলট্রির মুরগি দিয়ে যাঁরা পেট ভরাতে চান, তাঁরাও পড়েছেন বিপাকে। কারণ, গত দু’দিন ধরে মুরগির মাংসের দামও বেশ কিছুটা বেড়েছে। দোলের আগে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ছিল ২০০ টাকার নীচে। এখন তা ২৩০-২৫০ টাকা।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বললেন, ‘‘মাসকয়েক আগেই আনাজ, ফলের দাম বেড়েছে। এ বার মুরগির মাংসের দামও বাড়ল।’’ খুচরো বাজারে মুরগির ডিমের দামও বেড়েছে। শিয়ালদহের ডিমপট্টির ‘দ্য কলকাতা এগ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত বললেন, ‘‘পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কম থাকলেও খুচরো বাজারে তা বেড়েছে জ্বালানির দাম বাড়ায়।’’ মঙ্গলবার ডিমপট্টিতে এক-একটি ডিমের পাইকারি দর ছিল সাড়ে চার টাকা। কিন্তু বাজারে সাড়ে পাঁচ-ছ’টাকা।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বললেন, ‘‘পোলট্রির মুরগিদের প্রতিপালনের খরচ বেড়েছে। ওদের খাবারের দাম বাড়ায় পোলট্রি চাষিরা বিপর্যস্ত।’’