ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
রেডিয়ো-সঙ্কেত নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় মঙ্গলবার প্রায় ঘণ্টাখানেক ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আরও এক ঘণ্টা ধীর গতিতে সব ট্রেন চালাতে হয়। সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়। এই বিপত্তির জেরে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ীর মতো বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘ সময় যাত্রীরা আটকে থাকেন।
উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় কমিউনিকেশন বেস্ড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (সিবিটিসি) রয়েছে। এই প্রযুক্তিতে রেডিয়ো-সঙ্কেতের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে লাইনে ছুটতে থাকা ট্রেনের অবস্থান জানা যায়। মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল ৪টে ৩৬ মিনিট নাগাদ সেন্ট্রাল পার্কে থাকা অপারেশনাল কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে রুটে ছুটতে থাকা ট্রেনগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কন্ট্রোল রুম থেকে কোনও ট্রেনের অবস্থান দেখা যাচ্ছিল না বলে খবর। এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার উপরে। ফলে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়।
এ দিকে, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে আচমকা পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সল্টলেকের দিকে একের পর এক স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পূর্বমুখী, অর্থাৎ সেক্টর ফাইভগামী লাইনে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের কম গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিছু পরে, বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিটে পশ্চিমমুখী, অর্থাৎ শিয়ালদহগামী লাইনেও একই ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ট্রেন চালানোর পরে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই বিভ্রাটের জেরে এ দিন পাঁচ-ছ’টি ট্রেনের চলাচল ব্যাহত হয়। সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, শিয়ালদহ, ফুলবাগানের মতো একাধিক স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। মাস দেড়েক আগেও একই কারণে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।