ফাইল চিত্র।
বর্ষার আগে বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের পুরনো ক্ষতে হাত দিতে চায় না নির্মাণ সংস্থা। বর্ষার আগে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা।
পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ থেকে টানেল বোরিং মেশিন ‘চণ্ডী’ এবং ‘উর্বী’-কে উদ্ধারে যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে, সেখান থেকে গত ১১ মে জল বেরোতে শুরু করলে দুর্গা পিতুরিলেনের একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল দেখা দেয়। জোড়া টিবিএম তুলে আনার পরে ওই অংশে সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল আয়তাকার গর্ত। সেখানেকংক্রিটের মেঝে তৈরির জন্য খোঁড়াখুঁড়ি থেকেই ওই বিপত্তি। ফলে জল আটকাতে প্রায় ২৫০ ঘনমিটার তরল কংক্রিট সেখানে ঢালা হয়েছে। কিন্তুকংক্রিটের নীচে এখনও জল বেরোচ্ছে কি না, তা দেখতে বিশেষজ্ঞদের একাংশ দু’ইঞ্চি ব্যাসের ফুটো করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মেট্রো নির্মাণ সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের থেকে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করতে নারাজ।
ইতিমধ্যেই বৌবাজারের বিপত্তি সামলাতে ব্রিটিশ সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞ জন এন্ডিকটকে ডাকছে ওই সংস্থা।জুনের মাঝামাঝি তিনি আসতে পারেন বলে খবর। ভবিষ্যতে বৌবাজারে ফের বিপত্তি বা অন্য সুড়ঙ্গটিতে ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কেএমআরসিএল ইতিমধ্যেই আইআইটি রুরকির পরামর্শ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানের দুই অধ্যাপক প্রাথমিক সমীক্ষাকরেছেন। বিপত্তি সামলাতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তাঁদের জানানো হয়েছে। মেট্রো সূত্রের খবর, বৌবাজারের পুরনো ক্ষতে আপাতত খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার কথা বলেছেন তাঁরাও।
এর পাশাপাশি ওই অংশের মাটিকে স্থায়িত্ব দিতে দুর্গা পিতুরি লেন এবং লাগোয়া এলাকায় গ্রাউটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এতেচার পাশের মাটির ঘনত্ব বাড়িয়ে জল চুঁইয়ে এবং মাটির ধুয়ে আসার প্রবণতা ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষার পরে পরিস্থিতি অনুকূল হলে তবেই পুরনো ক্ষত নিয়ে ভাবতে চান মেট্রোর আধিকারিকেরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।