বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা। নিজস্ব চিত্র।
মেট্রোর সুড়ঙ্গে বিপর্যয়ের পর বৌবাজারে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু পরিবার। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি করেছিলেন। শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গেল সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ। এ দিন ১৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা মেট্রো কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রে খবর।
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন, গৌর দে লেনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দিতে চায় মেট্রো। পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তালিকা তৈরি করছে তারা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে ৭৫টি পরিবারের নাম মিলেছে। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে। মেট্রো সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে প্রায় ৬০০ জনকে বৌবাজার এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে তাদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষই।
এক দিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে, তেমনই কী ভাবে সুড়ঙ্গ বিপর্যয় সামলানো যায়, তারও কাজ চলছে। দেশ-বিদেশের সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ, ভূতত্ত্ববিদরা লাগাতার কাজ করে চলেছেন। পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি কেএমআরসিএল-এর। আর একটি কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে মেট্রো কর্তাদের। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি এই প্রকল্প যাতে ভবিষ্যতে শেষ করা যায়। এ দিকে এ দিনও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন করে সদস্য বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী বের করে আনেন।
আরও পড়ুন: আকাশসীমায় ঢুকবে না কোবিন্দের বিমান, ভারতের অনুরোধ ফেরাল পাকিস্তান
মেট্রোর চেক দেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘মমতা দিদি যেমনটা চেয়েছিলেন সেই মতো পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’’ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প বলে ব্যাখ্যা করে বাবুল আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের সাধ্য মতো যা যা করা সম্ভব তাই করা হচ্ছে।’’ এর পরই ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘ববিদা বলেছেন রেলমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’
আরও পড়ুন: সুস্থ হচ্ছেন বুদ্ধদেব, খেলেন নিজের হাতেই, বলছেন কথাও