কালীঘাটের বাড়িতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — তৃণমূলের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে প্রতি বারেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন, কুশল বিনিময় করেন। কিন্তু তেইশের ২১ জুলাই যেন একটু অন্য রকম। শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার ঠিক আগে তৃণমূল নেত্রী দেখা করলেন ১৯৯৩ সালে যুব কংগ্রেসের সমাবেশে মৃত ১৩ জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। জানালেন, আগেও যে ভাবে পাশে ছিলেন, আগামিদিনেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
শহরে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের দিন কালীঘাটেও ভিড় থাকে থিকথিকে। সকলেই দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। যদি এক ঝলক দেখা পাওয়া যায় তাঁর। শুক্রবারেও তেমনই দৃশ্য কালীঘাটে। ভিড় সামলাতে ঘেমে একশা পুলিশকর্মীরা। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাজির হলেন ৩০ বছর আগে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রাণ হারানো ১৩ জন মৃতের পরিবারের জনা তিরিশ সদস্য। দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুশি মমতাও। তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের জন্য আছি। আপনাদের যখন যা সাহায্য লাগবে, বলবেন। যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখনও পাশে ছিলাম, এখন ক্ষমতায় আছি এখনও থাকব। আপনারা কোনও চিন্তা করবেন না।’’
প্রতি বার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশেই তাঁরা তৃণমূলের মঞ্চে হাজির থাকেন। নিয়ম করে প্রতি বার কথা বলে ভালমন্দ জেনে নেন মমতাও। কিন্তু এ বারই প্রথম কালীঘাটে মমতার বাড়িতে এসে ১৩ জন মৃতের পরিবারের সদস্যেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শহিদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর ধর্মতলার সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
এ দিকে, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ঢোকার চেষ্টা করলে সেটিকে আটক করা হয়। চালকের কাছ থেকে পাওয়া যায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়া নগরপাল বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিক পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি পরিচয়পত্র ছিল বিএসএফের। পাওয়া গিয়েছে মাদক। অস্ত্র নিয়ে তিনি কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।