—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রতিটি স্কুলের বাইরে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন এবং নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ট্র্যাফিক নিরাপত্তার পাঠও দেবে পুলিশ। বেহালায় লরির ধাক্কায় আট বছরের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে অভিযোগ উঠেছিল, বেসরকারি স্কুলগুলির সামনে যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়লেও সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে তা সে ভাবে দেখা যায় না।
মূলত সেই অভিযোগ খণ্ডন করতেই শহর জুড়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছে থানাগুলি। সেখানে থাকছেন সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা।
যেমন, সোমবার মুচিপাড়া এবং তালতলা থানা তাদের এলাকার বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার এলাকার ১৩টি স্কুলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই বৈঠক করেছে জোড়াসাঁকো থানা। তবে, এখানেই না থেমে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকর্তাদের নম্বর নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে উভয় পক্ষই নিজেদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
সূত্রের খবর, সোম এবং মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রথমে স্কুলগুলির অভিযোগ শোনেন ট্র্যাফিকের কর্তারা। সেই মতো সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, স্কুল শুরুর সময়ে এবং শেষে ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে স্কুলের সামনে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। জোর দেওয়া হবে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার উপরেও।
এর পাশাপাশি, মূল রাস্তা সংলগ্ন গলির ভিতরে যে সব স্কুল রয়েছে, সেখানে স্কুলের গেটের সামনে গার্ডরেল দিয়ে পডুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। স্কুলগুলিকে পুলিশের তরফে আরও বলা হয়েছে, স্কুলের সামনে ট্র্যাফিকের সিসি ক্যামেরা কাজ না করলে তা মেরামত করে নজরদারি চালানো হবে।
তবে, এই বৈঠকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক সচেতনতার পাঠের উপরে। ঠিক হয়েছে, এর জন্য স্থানীয় থানার তরফে স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো থানায় স্কুলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, সচেতনতার পাঠ দানের প্রথম পর্যায়ে আগামী কয়েক দিন স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক নিয়ে মাইকিং করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে স্কুলে প্রার্থনার শেষে পড়ুয়াদের দিয়ে সেই
সচেতনতার প্রচার করাবেন স্কুল কর্তৃপক্ষই।
প্রসঙ্গত, বেহালার সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পরে কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভারী ও মাঝারি
পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নিয়ে নতুন সময়-বিধি জারি করেছে লালবাজার। যাতে বলা হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ধরনের গাড়ি কোনও মতেই চলাচল করতে পারবে না। তবে, বন্দর এলাকার ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ হবে না।