দুই মেডিক্যাল বোর্ডের মতে অমিল দেখা দিলে তার নিষ্পত্তি ঘটাবে ‘অ্যাপিলেট বোর্ড’। শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষার্থে আইন তেমনটাই বলছে। কিন্তু এখনও সেই বোর্ডই গড়ে ওঠেনি এ রাজ্যে। কৌশিয়া বসুর শংসাপত্র বিতর্কের ঘটনায় সমাজকল্যাণ দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক আধিকারিকের দাবি অন্তত তেমনই।
আহিরীটোলার বাসিন্দা ‘লাম্বার র্যাডিকিউলোপ্যাথি’ রোগে আক্রান্ত কৌশিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তফসিলি পরীক্ষার্থী হিসাবে এ বছর এমবিবিএসের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১১২০ র্যাঙ্ক করেছেন। আর জি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড কৌশিয়াকে ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী বলে শংসাপত্র দিয়েছিল। তা মানতে চায়নি ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ মনোনীত এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘রাইট টু পার্সন উইথ ডিসেবিলিটি’ আইন অনুযায়ী, এই মতপার্থক্যের নিষ্পত্তি ‘অ্যাপিলেট বোর্ড’ করতে পারে। ওই বোর্ড গঠন করার কথা সমাজকল্যাণ দফতরের।
কৌশিয়ার বাবা অসীম বসু এ দিন জানান, সমাজকল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে মেয়ের সমস্যার কথা তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু দফতর থেকে তাঁদের মৌখিক ভাবে আদালতের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় নিযুক্ত সমাজকর্মী শম্পা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সমাজকল্যাণ দফতর চাইলেই সমস্যার নিষ্পত্তি হবে। সেখানে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক।’’
এ দিন কৌশিয়ার বাবা জাতীয় তফসিলি কমিশনে যান। কমিশন স্বাস্থ্য ভবনকে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির আর্জি জানিয়েছে।