Coronavirus

মুরগির মাংস বেচতে পেঁয়াজ ‘ফ্রি’ দিচ্ছেন দোকানিরা

চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিচ্ছেন, মুরগি থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা নেই।

Advertisement

সুপ্রকাশ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০ ০২:৩০
Share:

দোসর: মাংসের দোকানে ঝুলছে পেঁয়াজের প্যাকেট। বুধবার, সোদপুরের সুখচর বাজারে। নিজস্ব চিত্র

মাসখানেক আগেও বিয়েবাড়ির যৌতুক থেকে শুরু করে সাজানো শপিং মলের বাহারি স্টোরে ‘ফ্রি’ উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছিল পেঁয়াজ। তখন পেঁয়াজ ছিল মহার্ঘ। এ বার করোনা-আতঙ্কের জেরে মুরগির মাংসের দোসর হয়ে ফের ‘ফ্রি’ মিলছে পেঁয়াজ।

Advertisement

আগরপাড়া, সোদপুর, খড়দহ, টিটাগড় থেকে শুরু করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গাতেই মুরগির দাম নিম্নমুখী। এক সপ্তাহে কেজিতে দাম কমেছে ৫০-৬০ টাকা। তাতেও ক্রেতা মিলছে না। দর তলানিতে। এই অবস্থায় বিক্রেতাদের কেউ কেউ নতুন পথ নিয়েছেন। এক কেজি মুরগির মাংস কিনলে মিলছে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ।

তবে চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিচ্ছেন, মুরগি থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু সেই ভরসাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না দাম ও বিক্রির পতন।

Advertisement

বুধবার সোদপুরের সুখচর বাজারে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের সামনে সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা ‘কাটা মাংস ১০০’, ‘গোটা ৭৫’। পাশেই পেঁয়াজের প্যাকেট। বিক্রেতা দিপু ধর বললেন, ‘‘গত ক’দিনে বিক্রি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছে।’’ দিপু জানালেন, মঙ্গলবার কার্যত বিক্রিই হয়নি। সেই জন্য বুধবার থেকে তিনি পেঁয়াজ ‘ফ্রি’ দেওয়ার পথ নেন। এ দিন তিনি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। এক কেজি বা তার বেশি মুরগির মাংস কিনলে ক্রেতাকে আড়াইশো গ্রাম পেঁয়াজ উপহার দিচ্ছেন। তবে দিনের শেষে তাঁর ১৫ প্যাকেট পেঁয়াজ এখনও পড়ে রয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও কয়েক জন বিক্রেতা পেঁয়াজ উপহার দিতে শুরু করেছেন।

পেঁয়াজ দিপুর দোকানে বিক্রি সামান্য বাড়ালেও খড়দহের রহড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাজু বিশ্বাসের কপাল ফেরেনি। বুধবার সেখানে মুরগির মাংস বিকিয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। ব্যারাকপুরের কোনও কোনও বাজারে এ দিন দাম ছিল ১১০ টাকা। অন্যান্য বাজারে ১০০ টাকা।

তবে সকলেই যে মুরগির সঙ্গে আড়ি করেছেন, তা নয়। যেমন ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুরের শ্যামল সরকার। এ দিনও দু’কেজি মাংস কিনলেন। তাঁর কথায়, ‘‘গুজবে কান দিচ্ছি না। দাম কম বলে বেশি করে কিনছি।’’ রতনলাল হাজরা আবার রান্নাঘরে মুরগি তুলছেন না। তাঁর সাফ কথা, ‘‘সাবধানের মার নেই।’’

উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা অবশ্য বলছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা তথ্য রয়েছে, তাতে মুরগির সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement