উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিভাগ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারি অনুদান পুর আয়ের অন্যতম উৎস। বাজেট বিবৃতি অনুযায়ী, বিগত বছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সরকারি অনুদান কমার পাশাপাশি কমেছে পুরসভার নিজস্ব আয়ও। তাই আধিকারিকরা মনে করছেন, রাজস্ব আদায় না-বাড়ালে ঋণ আরও বাড়বে।
ফাইল চিত্র।
অতিমারির ধাক্কায় এমনিতেই বেহাল অবস্থা কলকাতা পুরসভার কোষাগারের। আশানুরূপ রাজস্ব আদায় তো হচ্ছেই না, এমনকি কর্মীদের পেনশন দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১৭৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গত অর্থবর্ষের বাজেটে ঘাটতি ছিল ১৬১ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে সেই ঘাটতি সংশোধিত হয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫৮০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায়। এ বারের বাজেটে ৪২৩৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তবে ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বাড়লেও জনপরিষেবার জন্য খরচ বৃদ্ধির বিশেষ উল্লেখ নেই পুর বাজেটে।
বাজেট-বক্তৃতায় মেয়র জানান, ১৭৭ কোটি টাকা–সহ ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে পুরসভার ক্রমপুঞ্জীভূত ঘাটতি হবে ২৬০০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে চিন্তিত পুর অর্থ দফতরের আধিকারিকেরা। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘‘কোভিডের প্রথম ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন হয়েছিলাম। যার জন্য আশানুরূপ কর আদায় হয়নি।’’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিভাগ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারি অনুদান পুর আয়ের অন্যতম উৎস। বাজেট বিবৃতি অনুযায়ী, বিগত বছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সরকারি অনুদান কমার পাশাপাশি কমেছে পুরসভার নিজস্ব আয়ও। তাই আধিকারিকরা মনে করছেন, রাজস্ব আদায় না-বাড়ালে ঋণ আরও বাড়বে।
ফিরহাদ জানান, দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে শীঘ্রই বিজ্ঞাপন-নীতি আনতে চলেছে পুরসভা। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার থেকে কোথায় হোর্ডিং লাগানো যাবে, তার তালিকা তৈরি করবে পুরসভা। কোন রাস্তায় কতগুলি হোর্ডিং লাগানো যাবে, বলে দেওয়া হবে তার হিসাবও।’’ ফিরহাদ স্পষ্ট জানান, প্রস্তাবিত নীতি অনুযায়ী শহরের যে কোনও প্রান্তে হোর্ডিং লাগাতে হলে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে।