মেয়র ফিরহাদ হাকিম
শীতের মরসুম শুরু হলেও ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি পুর প্রশাসনের। সোমবার এ বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘শীতের মরসুম শুরু হলেও ঠান্ডা এখনও পড়েনি। তাই ডেঙ্গি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।’’ পতঙ্গবিদদের মতে, তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নীচে নামলে ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের দৌরাত্ম্য কমবে। কিন্তু ডিসেম্বর মাস শুরু হয়ে গেলেও পারদ নামছে না। ফলে ডেঙ্গিও এখনই শহরছাড়া হবে না। মেয়র বলেন, ‘‘পৃথিবীর উষ্ণায়নের জন্যই এ সব হচ্ছে। কী আর করব? তাড়াতাড়ি ঠান্ডা পড়ুক, এটাই প্রার্থনা করা ছাড়া আর তো কোনও উপায় নেই।’’
এ দিন পুর ভবনে প্রতিটি দফতরের ডিজি ও চিফ ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র। সেখানে পার্ক, বস্তি উন্নয়ন, ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও পরিবেশ রক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন মেয়র। বস্তি উন্নয়নে টাকা খরচের বিষয়েও আলোচনা হয়। সম্প্রতি পুর প্রশাসন জানিয়েছিল, বস্তি উন্নয়নে ওয়ার্ড-পিছু এক কোটি টাকা করে খরচ করা হবে। তা নিয়ে বৈঠকে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। মেয়র পারিষদেরা জানিয়েছিলেন, অনেক কাউন্সিলর ধরে নিয়েছেন, বস্তি উন্নয়নে এ বছর যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার উপরে ওয়ার্ড-পিছু এক কোটি টাকা মিলবে। পরে পুর প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে ঠিকই, তবে তা বছরের শুরু থেকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা ধরেই।
আগামী বছর পুরসভার নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই এ দিন ঠিকা প্রজা এবং ঠিকা ভাড়াটেদের জন্য পুর ভবনে নতুন একটি ‘সেল’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘ঠিকা জমি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার আইন সংশোধন করেছে। এখন ঠিকা প্রজা এবং ঠিকা ভাড়াটেদের ঠিকা জমি লিজ় দেওয়া হবে। সেখানে নিজেরা পাকা বাড়ি করতে না পারলে রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প থেকে করে দেওয়া হবে। তবে সেই ঠিকা জমি লিজ় পেতে আবেদন করতে হবে। পুরসভা যে সেল তৈরি করছে, সেখানেই আবেদন নেওয়া হবে।