গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফিরহাদের নেতৃত্বে বর্তমান তৃণমূল পুর বোর্ড শপথ নিয়েছিল। মঙ্গলবার, ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ হল তাঁর। ফাইল ছবি।
ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ হল মঙ্গলবার। কিন্তু দু’টি কাজ এখনও করতে পারেনি কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ড। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সে কথাই জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যার একটি হোর্ডিং-নীতি। অন্যটি, হকারদের তরফে প্লাস্টিকের ছাউনির ব্যবহার বন্ধ করা।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফিরহাদের নেতৃত্বে বর্তমান তৃণমূল পুর বোর্ড শপথ নিয়েছিল। এই সময়কালে পুর বোর্ড নিকাশি, পানীয় জল সরবরাহ, উদ্যান, জঞ্জাল অপসারণ-সহ পুর পরিষেবামূলক কী কী কাজ করেছে, এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সেই তথ্য দেন মেয়র। নতুন বোর্ড গঠনের পরেই ‘টক টু মেয়র’ পরিষেবা শুরু হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, এক বছরে ৬৪৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তার ৮০ শতাংশের সমাধান হয়েছে। আবার ‘হোয়াটসঅ্যাপ টু মেয়র’ পরিষেবায় ২৪৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ৭০ শতাংশের সমাধান হয়েছে বলে দাবি।
শপথগ্রহণের পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, এক বছর অন্তর নিজেদের কাজের খতিয়ান দেবেন। এ দিন সেই মতো খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোন রাস্তায় কত হোর্ডিং থাকবে, তা নিয়ে হোর্ডিং-নীতি তৈরি করতে পারিনি। ফলে মূল রাস্তায় বড় বড় হোর্ডিং রয়ে গিয়েছে।’’ হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনির ব্যবহার বন্ধের প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্য, ‘‘প্লাস্টিকের পরিবর্তে ওঁদের টিনের ছাউনি দিতে বলেছিলাম। ওঁরা শোনেননি। পুলিশ কমিশনারের কাছেও আবেদন করেছিলাম। প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে গড়িয়াহাটের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।’’
পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার যে পুরসভা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, তা-ও মেনে নিয়েছেন মেয়র। ক্রেতা ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে জরিমানার ব্যবস্থা থাকলেও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণকরা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, ‘‘রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে আবেদন, এইজরিমানা সংগ্রহে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। পুরসভার অনেক কাজ আছে। নিয়মিত অভিযান চালানো তাদের পক্ষে মুশকিল। জরিমানা নেওয়ার বিষয়টি পুলিশ ভাল সামলায়।’’ বাড়ি তৈরি করার সময়ে ফাঁকা জায়গা রেখে গাছ লাগালে সম্পত্তিকরে ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয় এ দিন।