কলকাতা বইমেলা। —ফাইল চিত্র।
দেখতে অনেকটা চশমা-চোখো চেনা বাঙালি পড়ুয়া। এক জন পুরুষ, অন্য জন নারী। দু’জনেই আবার হাঁসের আদলে। ২০২৫-এর ৪৮তম কলকাতা বইমেলার আসরে এই দু’টি হাঁসই ম্যাসকট হিসাবে থাকবে বলে সোমবার জানালেন উদ্যোক্তারা। আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সরস্বতীর বাহন হাঁস ভাবাই যায়। আমরা ঠিক করেছি, এই ম্যাসকটের মাধ্যমে
বইমেলার প্রচারে জোর দেব।’’ বইমেলায় আলাদা ম্যাসকট জ়োন থাকবে। টি-শার্ট,
কাপের মতো সামগ্রীতেও ম্যাসকটের মাধ্যমে বইমেলার প্রচার চলবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে, বইমেলায় পড়শি বাংলাদেশের আসার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না বলেই গিল্ড-কর্তারা জানাচ্ছেন। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, ‘‘এ বার সল্টলেকের মাঠে বইমেলায় ইংরেজি ভাষার প্রকাশকদের জন্য আলাদা আলাদা হলের সীমারেখাও মুছে দিচ্ছি। এ বার বইমেলা পুরোটাই হবে খোলা আকাশের নীচে। ইংরেজি বইয়ের নির্দিষ্ট অঞ্চলে গত বারের থেকেও বেশি জায়গা দিতে পারব। গত বার ১০০টির মতো ইংরেজি ভাষার প্রকাশক এলে এ বার ১২৫টির মতো প্রকাশক থাকবেন।’’ বইয়ের দোকান গত বারের থেকে বাড়বে না বলে গিল্ড-কর্তারা এ দিন জানান।
থিম দেশ জার্মানির কলকাতার কনসাল জেনারেল বারবারা ভস বলেন, ‘‘আমাদের আশা, কলকাতা বইমেলার হাত ধরে ভারত-জার্মানি কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হবে। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার নানা আকর্ষক সুযোগ আমরা এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেলে ধরব।’’ কলকাতার গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ওয়েগনারও বলেন, ‘‘বইমেলার জার্মান প্যাভিলিয়ন পরিবেশবান্ধব এবং বহুত্বের বার্তা মেলে ধরবে।’’