বিপাশা হালদার।
শ্বশুরবাড়ি থেকে এক বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার সকালে, মানিকতলার ক্ষুদিরামপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বিপাশা হালদার (২৪)।
পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন ওই তরুণী। এ দিন সকালে তাঁরঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা ওই বধূর শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে বিপাশার স্বামীর খোঁজ মেলেনি। পরে বিপাশার পরিবারের তরফে মানিকতলা থানায় বিপাশার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
বিপাশার বাবা সত্য হালদার এ দিন জানান, বছর সাতেক আগে তাঁর বড় মেয়ে বিপাশার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর একটি তিন মাসের ছেলে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই টাকাপয়সা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তাঁর মেয়ের উপরে নানা ধরনের অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ করেছেন সত্যবাবু। তিনি জানান, বিপাশার স্বামী মাইক ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করেন। বিপাশাকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
পরিবারের দাবি, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁরা বিপাশার মৃত্যুসংবাদ পান। তাঁদের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করেই সেই খবর দেওয়া হয়েছিল। সত্যবাবু বলেন, ‘‘খবর পেয়ে মেয়ের বাড়ি গিয়ে দেখি, দোতলার ঘরে পাখার সঙ্গে ঝুলছে ওর দেহ। জামাই বাড়িতে নেই। কী করে ঘটল, তা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফে কিছু জানানো হয়নি। টাকাপয়সা নিয়ে মেয়ের উপরে অনেক অত্যাচার হয়েছে। আমরা থানায় লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছি।’’