আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ।—ছবি সংগৃহীত।
তাঁরা ছিলেন অনুত্তীর্ণ। ‘সংশোধনী’র হাত ধরে হলেন উত্তীর্ণ! আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের মার্কশিট-বিতর্কে শুক্রবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলল সব ক’টি ছাত্র সংগঠন।
গত ২০ জুন ডেন্টালের স্নাতকোত্তরের (এমডিএস) পরীক্ষায় রাজ্যের তিনটি কলেজের ৬৭ জন ছাত্রছাত্রীর ফল প্রকাশ হয়। দেখা যায়, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ‘প্রস্থোডনটিক্স অ্যান্ড ক্রাউন অ্যান্ড ব্রিজ’ বিভাগের তিন জন এবং ‘কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডনটিক্স’ বিভাগের এক জন ছাত্র অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। ঘটনাচক্রে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন গিরি প্রস্থোডনটিক্সেরই শিক্ষক। সেই বিভাগের তিন ছাত্র অকৃতকার্য হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন কর্তৃপক্ষ।
এর ছ’দিনের মাথায় ‘সংশোধনী’ এনে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, অকৃতকার্য তিন ছাত্র আসলে কৃতকার্য হয়েছেন! কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই উলটপুরাণ, সেই ব্যাখ্যা নেই সংশোধনীতে। আরও এক ছাত্র যে অকৃতকার্য হন, তার উল্লেখ নেই।
আর আহমেদে এসএফআইয়ের ইউনিটের আহ্বায়ক সম্রাট মণ্ডল জানান, মাস কয়েক আগে বিডিএসের ক্ষেত্রেও রেজাল্ট-বিভ্রাট ঘটেছিল। তা পরে সংশোধন করা হয়। সম্রাটের কথায়, ‘‘পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ যেখানে জড়িত, সেখানে বারবার এমন কেন হবে? এ তো মেধার সঙ্গে আপস করা!’’ এবিভিপি-র তরফে অভিষেক সিংহ হালদার বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর অভাবের জন্য এ সব হচ্ছে। কলেজের পঠনপাঠনের উন্নতিতে অধ্যক্ষের আরও নজর দেওয়া উচিত।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে কুণালকান্তি ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, দেখা উচিত স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের।’’ ডিএসও-র রাজ্য সভাপতি মৃদুল সরকারের বক্তব্য, ফল প্রকাশের পরিচালনার ভার বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার পরেই যত গোলমাল!
বিভ্রাট নিয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজেন পাণ্ডে বলেন, ‘‘কেন এমন হল, ভাল বলতে পারবেন পরীক্ষা নিয়ামক বা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ।’’ দু’জনের কেউই ফোন ধরেননি। এসএমএসের জবাব দেননি।