বৃষ্টির মধ্যেই বর্ষাতি পরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ স্কুলপড়ুয়াদের। ছবি: সুমন বল্লভ।
করোনার প্রকোপ কমায় দু’বছর পরে রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিল শহরের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। তাদের একাংশ সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। বাকিরা ছিল দর্শক। পাশাপাশি, সোমবার শহরের প্রায় সব স্কুলই পালন করেছে স্বাধীনতা দিবস।
হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত জানালেন, তাঁদের ৫০ জন ছাত্র রেড রোডের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল। সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন শিক্ষকও। তবে যারা যায়নি, তারা সকলেই স্কুলে এসেছিল স্বাধীনতা দিবস পালন করতে। পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
এ বছর শহরের আটটি স্কুলের পড়ুয়ারা রেড রোডের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। ৩০টি স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ ছিল দর্শকাসনে। যে সব স্কুল থেকে ৫০ জন করে পড়ুয়া এসেছিল, তাদের সঙ্গে ছিলেন পাঁচ জন শিক্ষক। আর যে সব স্কুল ১০০ জন করে পড়ুয়াকে পাঠিয়েছিল, তাদের সঙ্গে ছিলেন ১০ জন শিক্ষক।
সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরা শুধু অনুষ্ঠান দেখতেই যায়নি, তাদের বেশ কয়েক জন এ দিন তাতে অংশও নিয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগ জানালেন, এ নিয়ে তুমুল উৎসাহ ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমি প্রভাতফেরি, স্বাধীনতা বিষয়ক মূকাভিনয় এবং একটি দেশাত্মবোধক গীতি আলেখ্য মঞ্চস্থ করেছে।
বেসরকারি স্কুলগুলিও এ বার স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে প্রভাতফেরি এবং নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুল দক্ষিণেশ্বরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল কোভিড-পরবর্তী ভারতের ছবি তুলতে ধরতে ‘গুজ়র যায়েগা’ নৃত্য। ভারতের মহান বিপ্লবীদের বলিদানের কথা শোনা গেল স্কুলের কয়্যারের তিনটি পৃথক গানের উপস্থাপনায়।
এ দিন সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ক্যারাটে ও যোগব্যায়ামের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান হয়। সেই সঙ্গে খেলাধুলোয় খুব ভাল ফল করা কয়েক জন ছাত্রকে পুরস্কার দেওয়া হয়।